ফরিদপুর: পাট-পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৯৫ হেক্টর, হালি পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা মিলে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর। মৌসুমের শুরুতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষেও কৃষক লাভবান হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই নতুন হালি পেঁয়াজ ওঠানো শুরু করবেন কৃষকরা।
কয়েকজন পেঁয়াজ চাষির সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের হালি চারা রোপণে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আনুসঙ্গিক বিভিন্ন কারণে উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। পেঁঁয়াজ মৌসুমের শুরুতে সরকার যদি কোনো পেঁয়াজ আমদানি না করে, তাহলে কৃষক পেঁয়াজ চাষে লাভবান হবেন। তবে বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের যে দাম রয়েছে তা কৃষকের জন্য অলাভজনক।
প্রতি শতক জমিতে পেঁয়াজ চাষে মোট খরচ হয় প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকা এবং প্রতি শতকে পেঁয়াজ উদপাদন হয় ৪০-৬০ কেজি। মৌসুমে যদি পেঁয়াজের দাম দেড় হাজার টাকার ওপরে না থাকে তবে পেঁয়াজ চাষে কৃষক আগ্রহ হারাবে। আবার মৌসুমের শুরু পেঁয়াজ আমদানি করলে দাম কমে যায় সেক্ষেত্রে কৃষক ক্ষতির মধ্যে পড়ে। তাই পেঁয়াজের দাম বাড়াসহ উপকরণ ও পেঁয়াজ আমদানি না করার কথা বলেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদন এবার লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে। কৃষকপর্যায়ে নিড়ানি, আগাছা পরিষ্কার, সেচ, বালাই ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন আন্তঃপরিচর্যা বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন। পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা মসলা জাতীয় এ ফসলটি চাষে আরও আগ্রহী হবেন, যা স্থানীয় চাহিদা মেটানো ও আমদানি ব্যয় কমাতে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৩
এসআরএস