ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

নাটোরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা

মো. মামুনুর রশীদ, ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
নাটোরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা

নাটোর: নাটোরে আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি মৌসুমের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ হাজার ৭৪৩ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর চাষাবাদ হয়েছে।

ফলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৭০ মেট্রিক বোরো ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৫৮ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬১ হাজার ২০৪ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার সময় জেলার শস্যভাণ্ডার খ্যাত নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের পাটুল এলাকায় বোরো ধান কর্তনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু নাসের ভূঁঞা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজিনা আক্তার, উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. ফৌজিয়া ফেরদৌস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিন আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কিশোয়ার হোসেন, উপজেলা মৎস অফিসার সনজয় কুমার সরকারসহ উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং হালতি বিলের কৃষক ও শ্রমিকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বোরো ধান কর্তন অনুষ্ঠানে যোগদানের সময় স্থানীয় কৃষক ও ধান কাটা শ্রমিকরা জেলা প্রশাসকসহ আগত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে হাতে কাচি নিয়ে বোরোর জমিতে ধান কেটে কর্তন কাজের উদ্বোধন করা হয়।

এসময় অতিথিরা কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়ে ধান কর্তন পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে তারা উপস্থিত ৫০ জন শ্রমিককে শুকনো খাবার, পানি ও সালাইন বিতরণ করেন।

নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. ফৌজিয়া ফেরদৌস বাংলানিউজকে জানান, আজ হালতিবিলে জিরাশাইল ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়। এতে এবার প্রতি বিঘা জমিতে শুকনো অবস্থায় ২১ মণ করে বোরো ধানের ফলন হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি হেক্টরে ৬ দশমিক ৩  মেট্রিক টন ধান পাওয়া যাচ্ছে। তবে স্থান ও সময় ভেদে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি বলেন, চলমান তাপদাহ ১৮ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বিরাজমান থাকা এবং ২২ এপ্রিল থেকে ঝড়ো বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় সকল কৃষককে কম্বাইন্ড হারভেস্টর দিয়ে ধান কাটার অনুরোধ করা হয়। বৈরী আবহাওয়া তৈরি না হলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে। চলমান তাপদাহে সার্বক্ষণিক কৃষকের সঙ্গে কৃষি বিভাগ কাজ করছে এবং দ্রুত কেটে ঘরে তোলার জন্য সকল কৃষককে কম্বাইন্ড হারভেস্টর ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

এদিকে কৃষি বিভাগের দাবি এবার কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা, উন্নত জাতের বীজ প্রাপ্তি, চাষাবাদের পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরোর আবাদ বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এসএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।