ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

‘রাজা বাবু’র দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
‘রাজা বাবু’র দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের গ্রিন বাংলা ডেইরি ফার্মে তিন বছর বয়সী ক্রস জাতের একটি ষাঁড়ের ওজন এক হাজার ১০০ কেজি। আদর করে বিশালদেহী ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা বাবু’।

 

আসন্ন ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ষাঁড়টি। খামারের মালিক এটির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।  

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে খামারে গিয়ে দেখা গেল ‘রাজু বাবু’কে শুয়ে আছে। খামারের মালিক পারভীন ইসলাম কাছে গিয়ে বললেন, ‘রাজা বাবু’ দাঁড়াও। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ‘রাজা বাবু’ দাঁড়িয়ে গেল। তিনি যাই বলেন, ষাঁড়টি তার কথা মতো চল্

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন ইসলাম।  

তিনি চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শখ করে নিজস্ব জায়গায় গড়ে তুলেছেন গ্রিন বাংলা ডেইরি ফার্ম। প্রথমে লালন পালন করেছেন ২০টি বিদেশি জাতের মুরগি। এরপর নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য ২০০৭ সালে দুটি দুধেল গাভি লালন পালন শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পশুর সংখ্যা। এখন তার খামারে দুধেল গাভি, ষাঁড়, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট ষাঁড় রয়েছে, যেগুলো কোরবানির জন্য বিক্রি করবেন। ভেড়া বিক্রি করা শুরু হয়েছে, দাম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে।

পারভীন ইসলাম বলেন, মূলত আমার খামারটি একটি আদর্শ খামার। আমি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাস আর খড়, খইল ও ভুসি খাওয়ানো হয় ‘রাজা বাবু’সহ অন্যান্য গবাদি পশুকে। বর্তমানে ৬৬টি গরু আছে খামারে। এগুলো লালন পালন করার জন্য সাতজন শ্রমিক কাজ করেন।

তিনি বলেন, ক্রস জাতের ফ্রিজিয়ান জাতের ‘রাজা বাবু’র জন্ম আমার খামারেই। এটির বয়স তিন বছরের কিছু বেশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের লোকজন এসে এটি মেপে আমাকে জানালেন ওজন এক হাজার ১০০ কেজি। গরুটির দাম চেয়েছি ১৫ লাখ টাকা। তবে কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

ষাঁড়টির ওজন সম্পর্কে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মুকবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কার্যালয়ের লোকজন গত কয়েকদিন আগে এটি মেপেছেন। এটির ওজন হয়েছে এক হাজার ১০০ কেজি, অর্থাৎ সাড়ে ২৭ মণ।  

চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বখতিয়ার উদ্দিন জানান, পারভীন ইসলামের খামারটি একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। জেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক খামার গড়ে উঠেছে। এ বছর কোরবানির জন্য জেলায় চাহিদা রয়েছে ৭০ হাজার গবাদি পশুর। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার গবাদি পশু। চাহিদার বাকিটা অন্য জেলা থেকে মিটবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।