ময়মনসিংহ: ২৩ মণ ওজনের লাল মানিক। দৈনিক তার খাবারের বাজেট এক হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ১০ নম্বর সিধলা ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল খালেক। তিনি হাসানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
প্রায় এক মাস ধরে ফিজিয়ান জার্সি জাতের বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন এই কৃষকের বাড়িতে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। তবে এ নিয়ে বিরক্ত হন না কৃষক খালেক।
আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, তিন বছর ধরে এই ষাঁড়টি আমি সন্তানের মতো লালন-পালন করছি। গায়ের রং লাল হওয়ায় ভালোবেসে আমি তার নাম দিয়েছি লাল মানিক। এখন সবাই তাকে লাল মানিক নামেই ডাকে। ফলে দূর থেকে কেউ তার নাম ধরে ডাকলে- মাথা নেড়ে সাড়া দেয় সে।
কৃষক খালেক আরও বলেন, প্রতিদিন তিন বেলা হাজার টাকার খাবার দিতে হয় লাল মানিককে। শুধু তাই নয়, দিনের বেশির ভাগই তাকে ফ্যানের বাতাসের নিচে রাখতে হয়। আর রাতে তো ফ্যান ছাড়া ঘুমাতেই পারে না লাল মানিক।
তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম চার দাঁত ওয়ালা এই লাল মানিককে হাটে তোলা হবে। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। তবে ক্রেতার সঙ্গে কথায় বনিবনা হলে দাম কিছুটা কম হতেও পারে।
খালেকের মতো এই গ্রামের আরও অনেক কৃষক কোরবানির পশুর হাটকে সামনে রেখে গবাদি পশু লাপন-পালন করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারাও কোরবানির হাটে এসব গবাদি পশু তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে এবার কোরবানির জন্য গবাদি পশুর সংকট নেই বলেও মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ট্রেইনিং কর্মকর্তা সুমারী খাতুন জানান, এইবার ময়মনসিংহ জেলায় কোরবানি পশুর হাটের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৮৯৫টি গবাদি পশু। এর মধ্যে চাহিদা আছে রয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আরএ