ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

খাসির ওজন ৯৫ কেজি! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
খাসির ওজন ৯৫ কেজি! 

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর কোরবানির হাটে একটি বিদেশি জাতের খাসি নজর কেড়েছে ক্রেতাদের। খাসিটির নাম ‘মিঠু’।

খাসিটির গায়ের রং আর দেহের গড়নে হাটে আসা ক্রেতা আর দর্শকরা আকৃষ্ট। বিদেশি জাতের এই খাসির ওজন ৯৫ কেজি।  

বিক্রেতা বিদেশি জাতের এই খাসির দাম চেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ বছর জেলার হাটে এটাই সবচেয়ে বড় খাসি।  

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজবাড়ী পৌর পশু হাটে এই খাসিটিকে তোলা হলে একনজর দেখতে ভিড় করে অনেক দর্শক। বিশেষ করে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল খাসিটি।

সরেজমিনে রাজবাড়ী পৌর পশু হাটে গিয়ে দেখা যায়, খাসিটি দেখতে অনেকে ভিড় করেছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন খাসিটির মালিক। সে হাতপাখা দিয়ে খাসিটিকে বাতাস করছেন। হাটে আসা অনেক ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা খাসিটিকে একনজর দেখতে ভিড় করছে। দর্শনার্থীরা এসে খাসিটির ছবি তুলছেন। অনেকে আবার এসে দাম জিজ্ঞাসা করছেন।

জানা গেছে, খাসিটির মালিকের নাম ওমর। সে মিজানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগমারা এলাকার রফিক সরদারের ছেলে। ওমর স্কুলছাত্র। ৩ বছর ধরে খাসিটি সেই লালন-পালন করছে। কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য শুক্রবার খাসিটিকে হাটে এনেছে।  

খাসির মালিক ওমর বাংলানিউজকে বলে, খাসিটি আমার পালের। ৩ বছর ধরে আমি খাসিটিকে লালন-পালন করে বড় করেছি। শখ করে নাম রেখেছি ‘মিঠু’। মিঠু বলে ডাক দিলে সে সাড়াও দেয়। খাসিটিকে আমি ভাত, খড়, ভুসি ও ঘাস খাওয়াই। আমি এটিকে বিক্রির জন্য হাটে তুলেছি। দাম চাচ্ছি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে ৮০ হাজার টাকা দামও উঠেছে। তবে ১ লাখ টাকা দাম বললে ছেড়ে দেব।

হাটে আসা দর্শনার্থী শিমুল মোস্তফা বলেন, আমি আমার জীবনে এত বড় খাসি কখনো দেখিনি।  

আরেক দর্শনার্থী কাজল মোল্লা বলেন, বিশাল আকৃতির খাসিটি দেখতে ছোটখাটো একটি গরুর সমান।

হাটে খাসি কিনতে আসা ক্রেতা মিরাজ শেখ বলেন, কোরবানির জন্য একটি খাসি কিনতে হাটে এসেছি। বেশ কয়েকটি খাসি দেখলাম। তার মধ্যে মিঠু নামে খাসিটি সবচেয়ে বড়।

হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মো. জনি বলেন, রাজবাড়ী হাটে আজ বড় একটি খাসি উঠেছে। ওজন ৯৫ কেজি হবে। বিক্রেতা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছে।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর রাজবাড়ীর বিভিন্ন পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা দিতে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে ভেটেনারি মেডিকেল টিম থাকবে। এ বছর রাজবাড়ীতে সাড়ে ৮ হাজার খামারে ৫৪ হাজার ৫২৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, এ বছর ১৪ হাজার ৯৮৫টি ষাঁড়, ৩৩ হাজার ১০টি ছাগল, ৬ হাজার ২০০ গাভী, ৩০টি মহিষ, ৩০০টি ভেড়া কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।