ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

এবার হাটে উঠবে না গতবার হাট কাঁপানো সেই কালা মানিক 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
এবার হাটে উঠবে না গতবার হাট কাঁপানো সেই কালা মানিক 

ময়মনসিংহ: প্রায় ৫০ মণ ওজনের কালামানিক (ষাঁড়) গত বছরের ঈদুল আজহায় গাবতলী ও দিয়াবাড়ীর কোরবানি পশুর হাট কাঁপালেও এবার আর হাটে তুলবেন না বলে জানিয়েছেন মালিক জাকির হোসেন সুমন। তবে কেউ তাকে নিতে চাইলে আসতে হবে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানিখলা এলাকার মধ্য ভাটিপাড়া গ্রামে।

সোমবার (২৬ জুন) দুপুর ২টায় বাংলানিউজকে এমনটাই জানিয়েছেন বিশাল দেহী এই ষাঁড়টির মালিক জাকির হোসেন সুমন।

তিনি জানান, গতবার ঈদুল আজহায় ঢাকার গাবতলী ও দিয়াবাড়ীর কোরবানি পশুর হাটে কালা মানিক নামে এই ষাঁড়টি বিক্রির জন্য তোলা হয়েছিল। সে সময় এই কালা মানিককে ঘিরে ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হলেও প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা হয়নি। ফলে এবার এই কালা মানিককে হাটে না নিয়ে বাড়িতেই বিক্রি করতে চান মালিক জাকির হোসেন সুমন।    

কারণ বিশাল আকৃতির এই গরুটি যাতায়াত ও গাড়িতে ওঠা-নামায় অনেক কষ্ট। সেই সঙ্গে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা খাবার বাজেটের এই ষাঁড়টিকে সামাল দেওয়াও অনেক কঠিন কাজ। আর তাই ভালো ক্রেতা পেলে কিছুটা কমমূল্য হলেও বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান মালিক।  

পারিবারিক সূত্র জানায়, এই কালা মানিকের জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রয়েছে সব প্রাকৃতিক খাবার। এর মধ্যে ভুসি, খৈল, ভুট্টা, চালের কুড়া, খড় ও ঘাস উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও নিয়মিত শরবত, খাবার স্যালাইন, কলাসহ নানা ধরনের খাবার দেওয়া হয় কালা মানিককে।  

সেই সঙ্গে গরম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত সাত বছর বয়সি কালা মানিকের পাশে থাকে দুটি স্ট্যান্ড ফ্যান। কারণ শীত বা গরমে কোনো সময়ই ফ্যান ছাড়া সে ঘুমাতে পারে না।  

জানা যায়, বিগত কয়েক বছর আগে স্থানীয় হাট থেকে ৭৫ হাজার টাকায় কেনা এই ষাঁড়টির গায়ের রং কালো কুচকুচে হওয়ায় মালিক তার নাম দিয়েছেন কালা মানিক। সেই থেকে প্রতিবেশীরাও তাকে কালা মানিক বলেই জানে।

স্থানীয় খোরশিদ আলম ও আব্দুল জব্বার বলেন, সন্তানের মতোই এই গরুটিকে লালন-পালন করেছে মালিক সুমন। এত বড় গরু আমাদের উপজেলায় আরও আছে বলে জানা নেই। ফলে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এই গরুটিকে দেখতে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুমারী খাতুন জানান, এইবার ময়মনসিংহ জেলায় কোরবানি পশুর হাটের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৮৯৫টি পশু। এর মধ্যে চাহিদা আছে রয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭টি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।