সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে একটি গরুর খামারে সকালে খাবার দেওয়ার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ১১টি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু মারা গেছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকার আসাদ অ্যাগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটে।
খামারের গরুগুলো পরিচর্যাকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকাল ৭টায় আমি গরুগুলোকে খাবার দিই। খাবার খাওয়ার সময় সব গরু স্বাভাবিক ছিল। খাবার খাওয়ানো শেষ করে আমি বাড়ি যাই। ঘণ্টাখানেক পরে মামী আমাকে জানায় গরুগুলো ঠাস ঠাস কইরা পইরা মারা যাইতেছে। এসে দেখি সব মারা গেছে।
খামারের মালিক আসাদ খান বাংলানিউজকে বলেন, আমার খামারে ১৬টি গরু ছিল। এর মধ্যে ১১টি মারা গেছে। সব ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। এর মধ্যে ছয়টা গরু গর্ভবতী ছিল, তিনটি ষার ও আড়াই বছর বয়সী দুটি বাছুর ছিলে। একটি গরু দুই-এক দিনের ভেতর বাচ্চা দিত। সব মিলিয়ে ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়ে গেল। বাকি ৫টি গরু সরিয়ে ফেলেছি। সেগুলো এখন পর্যন্ত ভালো আছে।
তিনি বলেন, সকালে খাবার দেওয়ার পর থেকে একে একে গরুগুলি মাটিতে শুয়ে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে মৃত্যু হয়। আমরা গত দুই বছর ধরে একই ধরনের খাবার পরিমাণমতো গরুকে খাওয়াচ্ছি। মারা যাবার সময় প্রতিটা গরুর পায়ু পথে দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা গেছে। কি কারণে গরুগুলি মারা গেল এজন্য প্রয়োজনীয় নমুনা (খাবার, গোবর, রক্ত) পরীক্ষা করতে দেব।
এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমি ও ভেটারেনারি সার্জন দুজনই ঢাকাতে কো-অর্ডিনেশন মিটিংয়ে আছি। ঘটনাস্থলে আমাদের প্রতিনিধি আমার উপ-সহকারী যাচ্ছেন ওখানে। কি সমস্যা এবং সেখানকার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে। আমি যতটুকু ধারণা করছি নাইট্রেট পয়জনিং হতে পারে। বর্ষাকালে ঘাসে প্রচুর নাইট্রেট থাকে যে জন্য নাইট্রেট পয়জনিং হয়। এর কারণে একসঙ্গে অনেক গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
এসএফ/এসএএইচ