ঢাকা, শনিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বৃষ্টিতে রোপা আমন আবাদে গতি ফিরল

বদরুল আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
বৃষ্টিতে রোপা আমন আবাদে গতি ফিরল

হবিগঞ্জ: দুই সপ্তাহ পর হবিগঞ্জে বৃষ্টির দেখা পাওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। কয়েকদিনের তাপদাহে স্থবির হয়ে পড়া রোপা আমনের আবাদেও বৃষ্টিতে গতি ফিরেছে।

 

আকস্মিক বন্যার পর দুই সপ্তাহ আগে জেলায় শেষবার বৃষ্টি হয়েছিল। এরপর গত কয়েকদিনের তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

 এ পরিস্থিতিতে  শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে মানুষের মধ্য থেকে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি  কেটেছে। গতি ফিরেছে তাদের দৈনন্দিন কাজেও।

 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুর ২টা থেকে জেলা সদর, নবীগঞ্জ, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ মাধবপুর, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে শ্রমজীবী মানুষদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

হবিগঞ্জের ৯ উপজেলায় ৮৮ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্য ছিল। গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৪৬০ হেক্টরে চারা রোপণের কাজ শেষ হয়।  

তাপদাহের কারণে কৃষকরা কাজে না যাওয়ায় বাকি ৮ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির আবাদ আটকে যায়। শনিবার দুপুরে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার পাঁচ বিঘা জমি চাষাবাদ করে রেখেছিলাম, কিন্তু গরমের কারণে শ্রমিক না পাওয়ায় চারা রোপণ করতে পারেননি। শনিবার বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে আরেক দফায় হালচাষ করে চারা রোপণ করবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, আজমিরীগঞ্জ, লাখাই ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৮ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমির আবাদ বন্যায় পিছিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাপদাহ শুরু হলে সেগুলোর আবাদ আটকে চায়। যেহেতু বৃষ্টি হয়েছে আগামী দুদিনের মধ্যেই রোপণ কাজ শেষ হবে।

কৃষক আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, যে জমিগুলো আগে আবাদ হয়েছিল, সেগুলো এখন বড় হয়ে গেছে। কিন্তু পানির অভাবে সার প্রয়োগ ও আগাছা পরিষ্কার আটকে ছিল। তবে বৃষ্টি হওয়ায় এসব কাজ দ্রুত করা যাবে।

হবিগঞ্জ শহরে রিকশাচালক মিজানুর রহমান বলেন, চারদিন ধরে তীব্র রোদ ও গরমে রিকশা চালিয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছি। তারপরও শনিবার সকালে সংসারের খরচ জোগাতে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। দুপুরে বৃষ্টি নামায় অনেক আরাম মিলেছে।

লাখাই উপজেলার সাংবাদিক মো. বাহার উদ্দিন বলেন, কৃষকসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রমজীবী লোকেরা গরমে কাবু হয়ে পড়েছিল। দুই সপ্তাহ পর বৃষ্টি নামায় আমাদের মধ্যে অনেক স্বস্তি ফিরেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।