ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

লায়ন্স ক্লাবের কাছে অর্থসহায়তা চাইলেন কৃষিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৬
লায়ন্স ক্লাবের কাছে অর্থসহায়তা চাইলেন কৃষিমন্ত্রী ছবি: রানা- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকারের পাশাপাশি যেসব বিজ্ঞানীরা দেশে খাদ্য উৎপাদনের জন্য অবদান রাখছেন তাদের জন্য লায়ন্সকে আলাদা বরাদ্দ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি৩, বাংলাদেশ আয়োজিত প্রতিষ্ঠানের ২০তম বার্ষিক ডিস্ট্রিক্ট কনভেনশন-২০১৬ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রতিষ্ঠানের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘উৎকর্ষের জন্য শিক্ষা’।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের সাবেক আন্তর্জাতিক পরিচালক শেখ কবির হোসেন ও মোসলেম আলী খান (এমজেএফ)।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিস্ট্রিক্ট গর্ভনর (২০১৫-১৬) আবু জাফর মো. সামসুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরসি করভেনশন চেয়ারম্যান ফারহানা নাজ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে মানুষের সংখ্যা ছিলো ৭ কোটি। তখনও দেশে খাদ্যের অভাব ছিলো না। এখন ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশেও খাদ্যের অভাব নেই।

তিনি বলেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবাদি জমির পরিমাণ প্রতিনিয়তই কমছে। তারপরও সরকারের পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের নতুন প্রযুক্তির ধানের উদ্ভাবনের ফলে যে জমিতে ১৫ মণ ধান উৎপাদন হতো, এখন সে জমিতে ১৫০ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে।

নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের জন্য লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের কাছে আলাদা বরাদ্দ রাখার দাবি জানান তিনি।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, লায়ন্স হচ্ছে অরাজনৈতিক একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি মানবসেবায় অতুলনীয় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছর জুন মাসে লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালিত হবে। সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের জন্য আলাদা একটি প্রকল্প রাখার দাবি তুলে ধরতে বাংলাদেশের লায়ন্সদের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে শেখ কবির হোসেন বলেন, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল সর্ববৃহ ও সবোর্চ্চ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বিদেশ থেকে প্রতিবছর প্রকল্পের মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ আসে তার সঙ্গে সমপরিমাণ অর্থ দিয়ে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব কাজে সাধারণ মানুষের সেবার জন্য ব্যবহার করছি।

বিশেষ অতিথি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, লায়ন্সের সেবা ও সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। পাশ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৫শ’ থেকে ৭শ’ ক্লাব রয়েছে। এ ক্লাবের অধীনে ১৪ হাজার লায়ন্স রয়েছে। তারা দেশের সাধারণ মানুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।