ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

‘হাঁস-মুরগি পালন করে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
‘হাঁস-মুরগি পালন করে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: উন্নত জাতের ছাগল, হাঁস ও মুরগি পালন করে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।  

তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

সরকার দেশীয় জাতের হাঁস, মুরগী এবং ছাগল পালন ও সংরক্ষণের জন্য প্রকল্পও হাতে নিয়েছে।

রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এফসিডিআই প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত সুফলভোগীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া। তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।  

‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করছে। দেশের প্রতিটি সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। ’ 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আলী মুনসুর, দৌলতপুর আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের সহকারী পরিচালক শংকর প্রসাদ মন্ডল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মেহনাজ।  

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মো. আনোয়ার উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ নেওয়াজ হোসেন জোয়ার্দার, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু সালেহ ও সাংবাদিক মো. আব্দুস সালাম।

পরে প্রতিমন্ত্রী ৩৬ জন সুফলভোগীর মাঝে ১২টি হাঁস, ৯টি মুরগি ও ১৫ টি ছাগল বিতরণ করেন। এ সময় ১০০ জন সুফলভোগীর মাঝে গাছের চারাও বিতরণ করেন তিনি।  

এর আগে সকালে ডুমুরিয়া মির্জাপুর মরা নদী জলমহলে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে বিকেলে খুলনা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।  

ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ ‍অতিথি ছিলেন- খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান,খুলনা  বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ ও পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৬
এমআরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।