ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

রাজশাহীতে ঝাঁঝ বেড়েছে মসলার

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬
রাজশাহীতে ঝাঁঝ বেড়েছে মসলার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহীতে মসলার বাজার চড়া হয়ে উঠেছে। এক মাসের মাথায় কিছু মসলার দাম কেজি প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কেবল এলাচের দামেই প্রতি কেজি বেড়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এরই মধ্যে মহানগরীর বাজারগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। সব কেনাকাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে মসলার কেনাকাটাও।

সাহেব বাজারের নূর স্টোরের মালিক আবদুল নূর জানান, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি দারুচিনি (পাইকারি) ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা ও খুচরা ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। এক মাস আগে দাম ছিল পাইকারি ২১০ থেকে ২২০ টাকা ও খুচরা ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। ছোট এলাচ পাইকারি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও খুচরা ১ হাজার ২০০ টাকা। এক মাস আগে পাইকারি দাম ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং খুচরা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।

বড় এলাচ পাইকারি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা ও খুচরা এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। আগে ছিল পাইকারি দাম ১ হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা এবং খুচরা ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৭০০।

লং পাইকারি ১ হাজার ৩০০ থেকে হাজার ৪০০ টাকা ও খুচরা হাজার ৫০০ থেকে হাজার ৬০০ টাকা। আগে ছিল পাইকারি হাজার ১০০ থেকে হাজার ২০০ টাকা। খুচরা হাজার ৩০০ থেকে হাজার ৪০০।

এছাড়া প্রতি কেজি গোলমরিচ পাইকারি ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং খুচরা ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা, আগে ছিল পাইকারি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং খুচরা ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০।

শাহী জিরা পাইকারি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও খুচরা ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। আগে ছিল পাইকারি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ও খুচরা মূল্য ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।

কাবাব চিনি পাইকারি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ও খুচরা ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। আগে ছিল পাইকারি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও খুচরা ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা।

এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে জায়ফল বর্তমানে পাইকারি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং খুচরা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জয়ত্রী পাইকারি ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা ও খুচরা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, তেজপাতা পাইকারি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি ও খুচরা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। এক মাস আগে ছিল পাইকারি ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও খুচরা ১১০ থেকে ১২০ টাকা। গুঁড়া মরিচ পাইকারি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ও খুচরা ২১০ থেকে ২২০ টাকা। আগে ছিল পাইকারি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং খুচরা ১৯০ থেকে ২০০।

সাহেব বাজারে বাজার করতে আসা মোমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ এলেই মসলার দাম বাড়ে। বিশেষ করে কোরবানির ঈদে। এবার একটু আগে থেকেই দাম বেড়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও বাড়তে পারে। এমন আশঙ্কায় এখনই মসলার বাজার সারলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬
এসএস/আরআইএস/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।