ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

দুই মোকামে কোটি টাকার বেশি কলা বিক্রি

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
দুই মোকামে কোটি টাকার বেশি কলা বিক্রি ছবি: আরিফ জাহান / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চণ্ডীহারা ও ফাঁসিতলা কলার মোকাম ঘুরে: কাকডাকা ভোরে মোকামে আসতে থাকে কলা বোঝাই যানবাহন। পরিবহন থেকে কলার ঘাউর বা কান্দি নামিয়ে হাটের নির্ধারিত স্থানে সুন্দরভাবে সাজিয়ে বসেন কলা চাষিরা।

এরপর শুরু হয় কলা বেচাকেনার দরদাম।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মোকাম। আশপাশ ‍ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা বেপারিদের ছোটাছুটি, তোড়জোড় আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠে কলার মোকাম।
 
বগুড়ার চণ্ডীহারা ও ফাঁসিতলা মোকামে প্রত্যেক হাটবারে প্রায় ৪০ ট্রাকের মতো কলা বিক্রি হয়। যার বাজারমূল্য কোটির টাকারও বেশি। এসব কলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকার আগে ও পরে চণ্ডীহারা এবং ফাঁসিতলা কলার মোকামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলা এনে চাষিরা মহাসড়কের দু’পাশে কলার কাঁদি বিছিয়ে ও স্তূপ করে সাজিয়ে রেখেছেন। বেপারিরা কলা কিনতে চাষিদের ঘিরে দরদাম করছেন। বাজার চড়তি থাকায় চাষিরা শুরুতে বেশি দাম চেয়ে বসছেন। বেপারিরাও যথাসাধ্য দর কষাকষি করে কলা কিনছেন।  
 
অনেক সময় দাম বলেই কলার কাঁদি ধরে বেপারিরা টানাটানি করছেন। কিন্তু আশানুরূপ দাম না বলায় চাষিরা বেঁকে বসছেন। ফলে টানাটানি করেও কোনো লাভ করতে পারছেন না বেপারিরা। ফলে চাষির মূল্যকে অনেকটা প্রাধান্য দিয়ে কলা কিনতে হচ্ছে বেপারিদের।


 
আব্দুল মান্নান, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলামসহ একাধিক বেপারি বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে প্রতি ঘাউর অনুপম কলা ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা ও চিনি চাম্পা ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। সপ্তাহের শনি ও বুধবার চণ্ডীহারায় এবং ফাঁসিতলায় হাট বসে শুক্রবার ও সোমবার। এরমধ্যে ফাঁসিতলা হাটে চণ্ডীহারার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি কলার আমদানি হয়।  
 
এই দুই মোকাম থেকে প্রতি হাটবারে গড়ে প্রায় ৪০ ট্রাক কলা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, টাঙ্গাঈল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, লালমনিরহাটসহ দূর-দূরান্তের বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা-উপজেলা শহরে  যায়। প্রতি ট্রাকে গড়ে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার কলা থাকে বলেও জানান বেপারিরা।
 
শহিদুল ইসলাম, বজলু মিয়া, কাল্টু মন্ডলসহ একাধিক কলা চাষি বাংলানিউজকে জানান, চণ্ডীহারা মোকাম থেকে প্রত্যেক হাটবারে গড়ে ১৫ ট্রাক ও ফাঁসিতলা থেকে গড়ে ২৫ ট্রাকের মতো কলা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে।  
 
তবে কলার মূল মৌসুম আসতে এখনও বাকি। চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে এই দুই মোকামে ব্যাপক পরিমাণ কলার আমদানি হয়। ওই সময় এখান থেকে প্রতি হাটবারে শতাধিক ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় বলেও জানান চাষিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এমবিএইচ/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।