ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

বেচা-কেনা এখনও জমেনি বরিশালের পশুর হাটে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
বেচা-কেনা এখনও জমেনি বরিশালের পশুর হাটে বেচা-কেনা এখনও জমেনি বরিশালের পশুর হাটে, ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশালে কোরবানির হাটে পশু আমদানি হতে শুরু করেছে। তবে বেচা-কেনাতে এখনো মন্থর গতি বিরাজ করছে। দাম বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

যদিও দাম যাই হোক বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে হাটে পশু বেচা-কেনা পুরোদমে হবে বলে মনে করছেন হাট কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি হাটগুলোতে আমদানি পর্যাপ্ত হওয়ায় পশুর কোনো কমতি থাকবে না বলেও দাবি তাদের।

আর ক্রেতারা খুঁজছেন সাধ্যের মধ্যে ভালো দর্শনের গরু কিংবা ছাগল। তাই ক্রেতারা এ হাট থেকে ওই হাট চষে বেড়াচ্ছেন। বেচা-কেনা এখনও জমেনি বরিশালের পশুর হাটে, ছবি: বাংলানিউজসূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশর এলাকায় স্থায়ী গরুর হাট রয়েছে দু'টি। কোরবানি উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বরিশাল সিটি করপোরেশন অস্থায়ীভাবে আরো পাঁচটি গরুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে। আর জেলার ১০ উপজেলায় ১৮টি অস্থায়ী পশুর হাটে গরু-ছাগল বেচা-বিক্রির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে সব হাটেই ইতোমধ্যে যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা থেকে গরু আমদানি করেছে ব্যবসায়ীরা। নগরীর হাটগুলোতে গরু সরবরাহ থাকলেও ক্রেতাদের তেমন ভিড় এখনো দেখা যায়নি।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবারে কোরবানির হাটগুলোতে গরু আমদানি ২/১ দিন আগে থেকে শুরু হয়েছে। এখন হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও আরো আমদানি ঘটবে। পাশাপাশি নগরের মানুষ কোরবানির দু-এক দিন আগে হাটে আসেন তাই বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জমাজমাট গরু বিক্রি হবে।

বাবুগঞ্জের পোস্ট অফিস এলাকার গরু ব্যবসায়ী নজরুল জানান,  তিনি কুষ্টিয়ার খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনে এনেছেন ২০টি। যারমধ্যে পাঁচটি এরমধ্যে বিক্রি করেছেন। সবগুলোই বিক্রির ইচ্ছে রয়েছে, তবে বিক্রির দাম এখনো ক্রেতারা বলছেন না।

এদিকে এ বছরে আকার-আকৃতি অনুযায়ী প্রতিটি পশুর হাটে গত বছরের তুলনায় গরু-ছাগলের দাম অনেকটাই চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতারাও।

হাটগুলোতে ৩৫ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দরের গরু এবং ১২ থেকে ২৫ হাজার টাকা দরের ছাগল রয়েছে। তবে এর বাহিরে প্রতিটি হাটে একটি করে দুই লাখ টাকার ওপরে গরু এবং ৩০ হাজার টাকার ওপরে কিছু ছাগল রয়েছে। বেচা-কেনা এখনও জমেনি বরিশালের পশুর হাটে, ছবি: বাংলানিউজদাম-চড়ার বিষয়ে কাঞ্চন নামে এক খামারি জানালেন গো-খাদ্যের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। গেলো বছরের কুড়ার দর ছিলো ২০ টাকা কেজি। এবার ৩২-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রতাদের নিরাপত্তায় দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

রয়েছে জালটাকা সনাক্তকরণের মেশিন ও টাকা লেনদেনের জন্য বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টসহ বিভিন্ন অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা।

বরিশাল হাট কর্তৃপক্ষের সাতটি হাটে নিরাপত্তার দায়িত্বে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে, এর পাশাপাশি হাটগুলোতে চাঁদাবাজি ও জালটাকা সরবরাহ রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানালেন বরিশাল মেট্রপলিটন কমিশনার এসএম রুহুল আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এমএস/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।