ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

কাঁচা মরিচের ‘আকাল’ কারওয়ান বাজারে 

শরিফুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৭
কাঁচা মরিচের ‘আকাল’ কারওয়ান বাজারে 

ঢাকা: ক’দিন ধরেই বেড়ে চলেছে রসনার অন্যতম অনুষঙ্গ কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ। কিন্তু বাড়তে বাড়তে যে তা ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে এটা কে ভেবেছিলো? গত ক’দিন ধরে বাজারে আকাল পড়েছে কাঁচা মরিচের!

২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।  

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কোনো খুচরা দোকানে কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না।

তাই বাধ্য হয়ে নিত্য পণ্যটি না নিয়েই বাড়ির পথ ধরেছেন বেসরকারি চাকুরে শাকিলা জান্নাত।

 এ সময় বাংলানিউজকে তিনি বলেন, দুইদিন আগে কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম ২০০ টাকা কেজি। কিন্তু আজকে তো পেলামই না। বাজারের সব ক’টি দোকান খুঁজেছি, কোথাও নেই।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ পাওয়া যাবে না? এটা কিভাবে হয়? এমন কিছু অবিশ্বাসী প্রশ্ন নিয়ে বাজার ঘুরে শাকিলার কথার সত্যতা পাওয়া গেছে।
 
জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া বলেন, তিনদিন ধরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করি না। ১১০০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) কিনে এনে বিক্রি করবো কিভাবে? মানুষ এসে ১০/২০ টাকার মরিচ চায় এভাবে বিক্রি করে লস হয়। তাই বিক্রি করি না।

পাশের আরেক খুচরা বিক্রেতা শাকিল বলেন, ২০০ টাকা পাইকারি কিনে এনেও বিক্রি করতে হয় ২০০ টাকায়। মানুষ মনে করে আমরা দাম বেশি রাখি। তাই বাধ্য হয়ে খুচরা বিক্রেতারা মরিচ রাখে না।

বাজারে কোথাও মরিচ পাওয়া যাবে কিনা প্রশ্ন করলে এই বিক্রেতা বলেন, মরিচ পট্টিতে (মরিচের আড়ৎ) গেলে পাবেন। ওখানে আজকে ১২০০ টাকা পাল্লা বিক্রি হচ্ছে।
খোঁজ নিতে মরিচ পট্টিতে গিয়ে রীতিমতো তাজ্জব বনে যাবার অবস্থা। সেখানেও মরিচ নেই! তার মানে দেশের সব থেকে বড় পাইক‍ারি কাঁচা বাজারে কোনো মরিচ নেই।
 
কথা বলার জন্য কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সন্ধান করলে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে বাজারে আর কোনো মরিচ নেই। এখন কোনো পাইকারকে পাবেন না। কথা বলতে হলে রাত তিনটার পর আসতে হবে। তখন অনেকেই মরিচ নিয়ে বাজারে আসবে।

** কাঁচা মরিচের উত্তাপে দিশেহারা ক্রেতা

মরিচ পট্টির পাশের শসা বিক্রেতা আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আজকে বাজারে ১১০০ থেকে শুরু করে শেষের দিকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত পাল্লা বিক্রি হয়েছে। তাও আবার সন্ধ্যার পরে কোনো মরিচ ছিলো না। রাত ১২টার পরে কিছু দেশি মরিচ পাওয়া যাবে। আর ইন্ডিয়ান মরিচ আসবে রাত ৩ টার পর। কিন্তু আজকে দাম কত হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
 
তিনি বলেন, দেশের উৎপাদন কম আর আমদানি না থাকায় বাজারে মরিচের দাম হু হু করে বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়দিন পর গৃহিণীদের মরিচ ছাড়াই রান্না করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৭
এসআইজে/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।