ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

বিষমুক্ত চাষে নিশ্চিত বেগুনের গুণ, লাভবান চাষিরাও

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
বিষমুক্ত চাষে নিশ্চিত বেগুনের গুণ, লাভবান চাষিরাও বিষমুক্ত উৎপাদনে বেগুনের ফলন বেশি হয়, দামও বেশি পাওয়া যায়- বলছেন চাষিরা। ছবি: বাংলানিউজ

কুষ্টিয়া: কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় বিষমুক্ত বেগুন চাষে সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কৃষকেরা। কীটনাশকের বদলে জৈব বালাইনাশক ও সেক্স ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহার, উপকারী পোকা-মাকড় সংরক্ষণ এবং পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ পদ্ধতিতে আবাদ করছেন তারা।

বেগুনসহ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে মাঠ দিবস ও বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদনে আইপিএম লাগসই প্রযুক্তি।

এতে ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমন ও সবজির গুণগত মান নিশ্চিত হয়। বেগুনের পোকা দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ এখন বাজারে সহজলভ্য ও কার্যকরী। প্রতি ১০ বর্গমিটার জমির জন্য একটি ফাঁদ চারা লাগানোর ৪-৫ সপ্তাহ পর গাছের উচ্চতার ওপর খুঁটি দিয়ে স্থাপন করতে হবে। ৬-৭ দিন পর পর নিয়মিত সাবান পানি ও ৫০-৬০ দিন পর ফাঁদের উচ্চতা বদলাতে হবে।

ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমন ও সবজির গুণগত মান নিশ্চিত হয় বিষমুক্ত নানা পদ্ধতিতে।  ছবি: বাংলানিউজউপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকার সফল কৃষক বাবলু কোম্পানি বাংলানিউজকে বলেন, ‘জমিতে কীটনাশক ছাড়াই বেগুনের চাষ করে বিষমুক্ত সবজি খাচ্ছি ও বাজারে বিক্রি করছি। নিমপাতা, ছাই আর সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করি। এতে আগের তুলনায় ফলনও ভালো’।

শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘কীটনাশকের পরিবর্তে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে ভালো উপকার পেয়েছি’।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই, রফতানি হচ্ছে দেশের বাইরেও। পাশাপাশি বাড়ছে নানা ধরনের ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের আক্রমণ। চাষিরা এসব পোকা দমনে বেগুনের ক্ষেতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীল। এতে তারা আর্থিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন’।

‘আইপিএম পদ্ধতিতে বিষ ব্যবহার না করেও বেগুন উৎপাদনে মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি’।  

কীটনাশকে বেগুন চাষকারী চুনিয়াপাড়া এলাকার কৃষক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বেগুন ক্ষেতে পাখির উপদ্রব ঠেকাতে জাল দিয়েছি। আর পোকা থেকে বাঁচতে সপ্তাহে ১-২ বার কীটনাশক দিচ্ছি। চারদিন আগে বিষ দিয়েছি। তবে কুয়াশায় বিষের কার্যকারিতা একদিনের বেশি থাকছে না’।  

‘আমি এ বছর দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বেগুনের চাষ করেছি। জমি বাবদ ২১ হাজার টাকাসহ মোট খরচ হয়েছে ৮৬ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৪০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। এখনো লাখখানেক টাকা আয় হবে বলে আশা করছি’।

আইপিএম পদ্ধতিতে বিষ ব্যবহার না করেও বেগুন উৎপাদনে মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।  ছবি: বাংলানিউজআরেক কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমিতে সপ্তাহে ৫০০ টাকার বিষ লাগে’।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এএসআর
**
জলপাই চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।