ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

ভবিষ্যত কৃষির জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প খুঁজতে হবে

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
ভবিষ্যত কৃষির জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প খুঁজতে হবে প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন চ্যালেঞ্জেস ফর ফিউচার অ্যাগ্রিকালচার শীর্ষক সম্মেলন

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও তার ক্রমহ্রাসমান ক্ষমতা ভবিষ্যত কৃষির জন্য হুমকি স্বরূপ। এ সমস্যা সমাধানে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে হবে বিজ্ঞানীদের। আদা, হলুদ, দারুচিনি, প্লান্টেইন ঘাস ইত্যাদি হতে পারে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প উৎস।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন চ্যালেঞ্জেস ফর ফিউচার অ্যাগ্রিকালচার শীর্ষক সম্মেলনে এসব কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ান অধ্যাপক ড. পিটার ওয়েন।

সম্মেলনের মূল প্রবন্ধে ড. পিটার বলেন, ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পৃথিবীতে ব্যাপকহারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে।

ফলে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের ভবিষ্যত কৃষি উৎপাদন (যেমন-ফলমূল, ডিম, দুধ, মাংস ও শস্য) অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প ব্যবস্থা। আদা, হলুদ, দারুচিনি, প্লান্টেইন ঘাস ইত্যাদি হতে পারে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প উৎস। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে সবচেয়ে জরুরি শিক্ষা ও জনসচেতনতা।

সম্মেলনের বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব অধ্যাপক ড. জহুরুল করিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এ এম এম সালেহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাণী ও উদ্ভিদের রোগ বৃদ্ধি, উৎপাদন ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করাই হবে ভবিষ্যত কৃষির অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে কৃষি ভিত্তিক নীতিমালা থাকলে তার বাস্তবায়ন না থাকাটাও আমাদের ভবিষ্যত কৃষির অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সুদান, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইথিওপিয়া থেকে প্রায় অর্ধশত বিজ্ঞানী উপস্থিত ছিলেন। দুইদিনে মোট ১৫০টি বৈজ্ঞানিক পেপার উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।