ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

শিলাবৃষ্টিতে ভেস্তে গেল তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
শিলাবৃষ্টিতে ভেস্তে গেল তরমুজ চাষিদের স্বপ্ন অসহায় কৃষক বসে আছেন ক্ষেতে

গোপালগঞ্জ: শিলাবৃষ্টিতে নিঃস্ব হয়ে গেলেন গোপালগঞ্জের তরমুজ ও ফুটি চাষিরা। শুক্রবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় মাত্র ১০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে গোপালগঞ্জের শত শত একর জমির তরমুজ ও ফুটি নষ্ট হয়ে চাষিদের বোনা এ স্বপ্ন ভেস্তে গেল।

গোপালগঞ্জ কৃষি অফিস বলছে শিলাবৃষ্টির ফলে ১০ ভাগ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আর কৃষকরা বলছেন অন্তত ২৫ ভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিজলবাড়ি, মাছবাড়ি, তেতুলবাড়ি, বরুয়াসহ ৯ গ্রামের কৃষকের প্রধান কাজই হলো তরমুজ ও ফুটি চাষ করা।

এ বছর এ এলাকার কৃষকরা ৮৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং ৪২০ হেক্টর জমিতে ফুটি চাষ করেছিলেন। অল্প কিছুদিন পরেই এসব ফসল বাজারে ওঠার কথা ছিল।

প্রতিবছর এ এলাকার কৃষকরা শত কোটি টাকার তরমুজ ও ফুটি বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু এবার কৃষকের সে স্বপ্ন ভেস্তে গেল।

বেশ কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলা বৃষ্টিতে তরমুজ ও ফুটি ফেটে নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেতের তরমুজ

কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রমেন বিশ্বাস ও উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃত্তিবাস পাণ্ডে বাংলানিউজকে বলেন, যেসব তরমুজ বা ফুটির ওপর শিলাবৃষ্টির আঘাত লেগেছে সেগুলোতে দু-একদিনের মধ্যে পচন ধরবে। কোনো ওষুধ দিয়ে এগুলোর পচন রোধ করা যাবে না। তবে যেসব তরমুজ বা ফুটি অনেকটা বড় হয়ে গেছে, সেসবের হয়তো কিছু ভালো থাকবে।

কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারা তরমুজ ও ফুটি রক্ষা করতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাছাড়া কৃষকদের এ লোকসানের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।