ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

সোলার প্যানেলে স্বপ্ন পূরণ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
সোলার প্যানেলে স্বপ্ন পূরণ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকের বরেন্দ্র অঞ্চলের সোলার প্যানেল।

নওগাঁ: নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের শিমুল তলি এলাকায় বছরজুড়েই থাকতো সেচের জন্য পানি সংকট। ফলে অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকতো হাজার হাজার হেক্টর জমি।

সম্প্রতি পাল্টেছে সেই দৃশ্যপট। এখন দৃষ্টিজুড়ে শুধুই সবুজের সমারোহ।

সেচ চাহিদা মিটাতে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ভূ-উপরিভাগের পানির ব্যবহার শুরু করেছে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ফলে সেইসব জমিতে এখন বছরজুড়েই বিভিন্ন রকম ফসল চাষ করতে পারছেন কৃষকরা। হাজার হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি এসেছে আবাদের আওতায়।

ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে হওয়ায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে নদীর পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার দূরের আবাদি জমিতে। যেখানে প্রথম ধাপে কয়েকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর দিনরাত নদীর পানি তুলে পৌঁছে দিচ্ছে জমি সংলগ্ন খালে। আর সেই খাল থেকে সেচের পানি চলে যাচ্ছে জমিগুলোতে। আর এতেই ধান-ডালসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হচ্ছে বছরজুড়ে। নদী থেকে পানি তোলার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর-১উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, আগে পানির অভাবে আমরা জমিতে চাষাবাদ করতে পারতাম না। বেশির ভাগ জমি পানির অভাবে পরে থাকত। কিন্তু এখন সমিতির মাধ্যমে পানি নিয়ে বছরজুড়ে চাষাবাদ করা যায়। আর সমিতির মাধ্যমে পানি নিতে প্রতি একরে মৌসুম জুড়ে দিতে হয় ৪ হাজার টাকা। আবার মৌসুম শেষে বেচে যাওয়া টাকা বন্টন করা হয় কৃষকদের মধ্যেই।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বাংলানিউজকে জানান, ভারি ধাতব আয়রন ও আসের্নিকের মত ক্ষতিকর পদার্থ না থাকায় ভূ-উপরিভাগের পানি জমির জন্য সবচেয়ে উপকারী। তাই এসব জমিতে ফলন বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী হাবিবুল আহসান বাংলানিউজকে জানান, এ পদ্ধতিতে একদিকে যেমন ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমছে তেমনি বিদ্যুৎ বা জ্বালানি তেলের মোটা ব্যয় থেকে বেচে যাচ্ছে কৃষক। আর তাই আগামীতে এ প্রকল্প এলাকা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আছে তাদের। তিনি আরও জানান, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় হয়েছে মাত্র সাড়ে ১০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।