ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

বৃষ্টির পানিতে তলিয়েছে কৃষকের ‘স্বপ্ন’

মাহিদুল ইসলাম রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৮
বৃষ্টির পানিতে তলিয়েছে কৃষকের ‘স্বপ্ন’ গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসল

দিনাজপুর: দেশের খাদ্যশস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল। চলতি বোরো মৌসুমে গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করা কৃষকদের সে স্বপ্ন এবারও ভেস্তে যাচ্ছে বৃষ্টির পানিতে।

শুক্রবার (১১ মে) দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী, সদর, চিরিরবন্দর, বিরল উপজেলার শতশত হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে থাকতে দেখা যায়। এদিকে ফসল পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার আগেই পানিতে তলিয়ে থাকা ফসল কেটে নিচ্ছেন কিছু কিছু এলাকার কৃষক।

 

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের বোরো ফসল নষ্ট হতে যাচ্ছে। পানিতে তলিয়ে থাকা ধান গাছের গোড়া পচতে শুরু করেছে। একারণেই পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই ফসল কাটতে শুরু করেছেন অনেক কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন অন্যের জমি বর্গা ও মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে চাষাবাদ করা বর্গা চাষিরা। বন্যার পর বর্তমান পরিস্থিতি যেন কৃষকদের মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার মোট ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে কৃষকরা। প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ দশমিক ৭৫ থেকে ৫ মেট্রিক টন।  

জেলার সদর উপজেলার কুতইড় এলাকার কৃষক মো. হাসেম আলী বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবারের মতো চলতি মৌসুমে তিনি তার ৫ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করছেন। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে পানিতে তলিয়ে গেছে তার অধিকাংশ জমির ফসল। কয়েকদিন আগে কচি ধানের শীষে আসে দানা। যা এখনও পরিপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। অপরিপূর্ণ ফসলগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন নিয়ে চিন্তিত। পানিতে তলিয়ে থাকা কিছু অংশের ফসল কাটতে শুরু করেছি। যা থেকে অর্ধেক ধানও উৎপাদন হবে কি-না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. তৌহিদুল ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকা ফসল বেশিদিন থাকলে গোড়া পচে গাছ মরে যাবে। তবে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে গাছ বেঁচে যাবে ও উৎপাদন স্বাভাবিক হবে। তাই জমে থাকা সব জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতে জমিতে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছেন কৃষক। এ কাজেও কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৮
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।