ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

সিলেটে চাল উৎপাদন আড়াই লাখ মেট্রিক টন বেড়েছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
সিলেটে চাল উৎপাদন আড়াই লাখ মেট্রিক টন বেড়েছে স্থানীয় কৃষকদের সমাবেশে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ

হবিগঞ্জ: পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আসায় চলতি মৌসুমে সিলেট বিভাগে চাল উৎপাদন আড়াই লাখ মেট্রিক টন বেড়েছে। যার মূল্য এক হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরে আরও ৩১ হাজার হেক্টর কৃষিজমি চাষাবাদের আওতায় আনা হবে।

শনিবার (১২ মে) বেলা ১২টায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে ‘সিলেট অঞ্চলে আউশ আবাদ বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক এক আঞ্চলিক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।  

আউশের ফলন ভালো হওয়ায় বোরো চাষের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আউশ ধান চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কর্মশালায় গুরুত্বারোপ করা হয়।

 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ।

কর্মশালায় আরও জানানো হয়, সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী থাকে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরে ১ হাজার কৃষককে আউশ আবাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করার কর্মসূচি গ্রহণ করবে কৃষি বিভাগ।

পরে মন্ত্রণালয়ের সচিব মঈন উদ্দিন বানিয়াচং উপজেলার কুণ্ডুরপাড় হাওরে নমুনা শস্য কর্তন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, প্রকৃতিকে বিঘ্নিত করলে প্রকৃতি দশগুণ বেশি প্রতিশোধ নেয়। তাই প্রকৃতিকে দূষিত করা থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে। যে কেউ খাল খনন ও নদী খনন প্রকল্প দাখিল করলে তাকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।  

এসময় তিনি কৃষকদের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. মহসিনের সভপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা ইকবাল আজাদের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলতাবুর রহমান, সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপ-সচিব শাহনাজ বেগম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক তমাল লতা আদিত্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার বশির আহমেদ সরকার, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মজুমদার ইলিয়াছ ও বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন খন্দকার।

কৃষকদের পক্ষ থেকে মো. মারুফ আহমেদ এবং উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সঞ্জয় কুমার দাশ।  

অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপ-সহকারী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৮
জিপি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।