সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষি শুমারিতে মোট ১২৬টি ফসল বা কৃষিপণ্যের তালিকায় গাঁজা, আফিম, ধুতরা ও সিনকোনা ছিল। কিন্তু সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় এবার এসব পণ্য বাদ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী জনশুমারি ও অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস ও প্রাণিসম্পদ) শুমারির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পঞ্চমবারের মতো কৃষি (শস্য, মৎস ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি হবে ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালের এপ্রিলের মধ্যেই তথ্য-সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হবে। এই শুমারিতে নেশা জাতীয় পণ্য বাদ দেওয়া হবে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৭, ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘কৃষি শুমারি-২০১৮’ প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম-সচিব জাফর আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, সর্বশেষ কৃষি শুমারিতে গাঁজা, আফিম, ধুতরা ও সিনকোনা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব নেশাজাতীয় দ্রব্যকে কোনোভাবেই আমরা কৃষিপণ্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারি না।
তিনি বলেন, কৃষিতে নানা ধরনের ভিন্নতা এসেছে। নতুন নতুন কৃষিপণ্য যোগও হয়েছে। ফলে এখন কৃষি পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭০টি। যেটা সর্বশেষ কৃষি শুমারিতে ছিলো মাত্র ১২৬টি।
জানা যায়, ১৭০টি কৃষিপণ্যকে মোটা দাগে ৮টি উপখাতে ভাগ করা হয়েছে। এসব উপখাত হচ্ছে- দানা, ডাল, তৈল বীজ, আঁশ, শাক, মসলা, ফল, ফুল জাতীয় ইত্যাদি পণ্য। তবে পরবর্তী শুমারিতে জাতীয় কৃষিপণ্যের মধ্যে শুধু তামাক, চা, পান ও সুপারি রাখা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২০১৯ সালের এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে শুমারির তথ্য সংগ্রহ কাজ সম্পন্ন হবে। দেশের সব খানা এবং কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন কর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৮
এমআইএস/এমএ