দেশের বৃহৎ পেঁয়াজের আড়ৎ রাজধানীর শ্যামবাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সর্বশেষ সপ্তাহে পাইকারি পর্যায়ে ভারতীয় পেঁয়াজের প্রতি কেজিতে ৫-৬ টাকা দাম বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের দামও কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়েছে।
সবচেয়ে ভালোমানের দেশি ‘কিং’ পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৩-৩৫ টাকায়। চিকন ও হাইব্রিড পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৩ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ‘কিং’ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩১-৩২ টাকায়। আর হাইব্রিড পেঁয়াজের দর ছিলো ২৯-৩০ টাকা।
একই পেঁয়াজ সেগুনবাগিচা ও ফকিরাপুল কাঁচাবাজারে খুচরা কেজি প্রতি ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাংলাবাজার ও মতিঝিলের রাস্তায় ভ্যানে করে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তার চেয়ে একটু নিম্নমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। অন্যদিকে ভালো মানের দেশীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। অথচ এই পেঁয়াজ ঈদের পর রাজধানীর বাজারগুলোতে ২৫-২৬ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ-রসুন সমিতির প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রজমানের ঈদ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কম ছিলো। কিন্তু ঈদের পর ভারতীয় ট্রাক মালিকদের ধর্মঘটের কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি কম হয়েছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দু’দিন আগে ট্রাক মালিকরা ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। আশা করছি পেঁয়াজের দাম কমবে।
শ্যামবাজারে গরিবে নেওয়াজ আড়তের মালিক শাহীন আলম বাংলানিউজকে বলেন, ভারতে পেঁয়াজের ফলন কম হয়েছে। এতে সরবরাহ কম থাকায় ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম ও দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের বন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় কমেছে। তার ওপরে বেনাপোলে ধর্মঘট চলেছে কয়েকদিন। শুনেছি এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। আশা করছি, দুয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে। ফলে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে।
গত ২৪ জুন বেনাপোল বন্দরে পুড়ে যাওয়া সাতটি ভারতীয় ট্রাকের ক্ষতিপূরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট মেইনটেন্যান্স কমিটি। এই ধর্মঘট চলে ২৮ জুলাই পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এমএফআই/আরআর