রোববার (৮ জুলাই) সকালে ঢাকায় শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ‘ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ ধান’ র্শীষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।
সেমিনারে ‘বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইসের গবেষণা অগ্রগতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্ন্তজাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) হেলদিয়ার রাইস প্রোগ্রামের বাংলাদেশের জাতীয় পরামর্শক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, হেলথ কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা গোল্ডেন রাইসকে নিরাপদ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।
তিনি বলেন, গোল্ডেন রাইসের ভাত খাওয়ার মাধ্যমে বিটা-ক্যারোটিন মানবদেহে প্রবেশ করে। যা দেহে ভিটামিন-'এ'তে রুপান্তরিত হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এ রাইসে অ্যালার্জিসিটি ও টক্সিসিটির কোনো প্রভাব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই এটি গ্রহণে পার্শ্বপতিক্রিয়া ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
এছাড়াও বিটা-ক্যারোটিন একটি স্বাদহীন যৌগ বিধায় এর প্রভাবে ভাতের স্বাদেরও কোনোরকম পরিবর্তন হবে না বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেকৃবি রির্সাচ সিস্টেমের (সাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম।
উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, আমাদের দেশে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের ভিটামিন-'এ' ঘাটতিজনিত সমস্যা যথেষ্ট প্রকট। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। ভাতের মাধ্যমে ভিটামিন-'এ' অভাব দূর করা গেলে দেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৮
এএটি