এসব অঞ্চলে নানাজাতের ধান, কুমড়া, মারফা, অড়হর, শিম, শশা, করলা, ঢেঁড়শ, তিল, কাঁঠাল, ভুট্টা, আদা, যব, তুলা, হলুদ, পাহাড়ি আলু, শাবাং (সবজির নাম), জুমিয়া কচু, মাকসহ বিভিন্ন ফসলের শুমারি শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন পরে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কৃষি শুমারির মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করলো।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জাফর আহাম্মদ খান, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনী আক্তার, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোরঞ্জন ধর, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জাফর আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়েই মাঠ পর্যায়ে কৃষি শুমারির কাজ শুরু করলাম। আমরা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভাও করেছি। আমাদের অনেকের ধারণা ছিলো কৃষি মানেই সমতল, এখন এই কথার কোনো ভিত্তি নাই। এখন পাহাড়ে নানা ধরনের ফসল হচ্ছে।
কৃষি শুমারি প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব জনাব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো কৃপণতা দেখান না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পার্বত্য এলাকার কোনো প্রকল্প উত্থাপন করা হলে সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অবহিত আছেন।
কৃষিশুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরণ, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীর সংখ্যা এবং কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যাবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১৯৬০, ১৯৭৭, ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোট চার বার দেশে কৃষি শুমারি পরিচালনা করা হয়েছে। পঞ্চম শুমারি দেশব্যাপি পরিচালিত একটি অন্যতম বৃহৎ শুমারি কার্যক্রম। প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ