সদরের উত্তর দিঘলদীর জয়গুপি গ্রাম, ইলিশার চর হোসেন, রাজাপুরের রামদাসপুর, ভেলুমিয়ার চন্দ্রপ্রসাদ এবং ভেদুরিয়ার ভেদুরিয়া গ্রামে বাঁধের বাইরে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার জোয়ারে এসব ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়।
মঙ্গলবারও (১৭ জুলাই) এসব ফসলের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।
তবে উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ভোলা সদরে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা হলেও তার মধ্যে ১৫০ হেক্টর জমির বীজতলা জোয়ারের পানিতে আক্রান্ত হয়েছে, তবে এখনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, জোয়ারের পানি অব্যাহত থাকলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
ভোলা সদরের উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের জয়গুপি গ্রামে বাঁধের বাইরে তেঁতুলিয়ার অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা, মাছের ঘের ও পানের বরজ। অন্তত অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার বলেন, জোয়ারের পানিতে ২/৩শ’ একর জমি প্লাবিত হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ আমনের বীজতলা।
তিনি বলেন, গত চারদিনের টানা জোয়ারে আমার আমনের বীজতলা ডুবে গেছে, এতে বীজতলা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া ৪০ হাজার টাকার মাছও ভেসে গেছে।
শুধু তোফাজ্জল হোসেন নন, তার মত অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় এ বছর নতুন উদ্যাগে চাষিরা আমন আবাদে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সেই লক্ষ্যে স্বপ্ন নিয়ে এ মৌসুমে বীজতলা তৈরি করেন তারা। কিন্তু শুরুতেই জোয়ারের পানি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোয়ারে অনেক ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত ভাটার পর পানি নেমে গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বীজতলা পচনের আশঙ্কা করছেন তারা।
ভেলুমিয়ার দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র বলেন, জোয়ারে সেখানকার ৯০ হেক্টর জমির আমনের বীজতলা প্লাবিত হয়েছে। তবে জোয়ার নেমে গেলে পানি নেমে যায়, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানিতে সদরের ১৫০ হেক্টর জমির আমনের বীজতলা ডুবে গেছে, তবে সব বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
জোয়ারের পানি নেমে গেলে দুষিত পানি নিষ্কাশন করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যদি বীজতলা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে নতুন করে বীজতলা তৈরির কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৮
আরএ