ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

বগুড়ায় কোথায়, কত পশুর হাট

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
বগুড়ায় কোথায়, কত পশুর হাট পশুর হাট। ছবি: আরিফ জাহান

বগুড়া: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। দিনটিকে সামনে রেখে বগুড়ার হাটগুলোয় নির্ধারিত দিনে কোরবানির পশু উঠতে শুরু করেছে।

তবে পশুর হাটগুলো পুরো জমে না উঠলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রত্যেক হাটবারে হাটগুলোয় কোরবানির পশু আমদানি বাড়ছে।

বগুড়ার ১২টি উপজেলার নির্ধারিত হাট ছাড়াও প্রত্যেক বছর কোরবানি ঈদ কেন্দ্রিক অনেক হাট বসে।

মানুষের চাহিদা সামনে রেখে এসব হাট বসানো হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। নির্ধারিত হাটের পাশাপাশি আগের ধারাবাহিকতায় বাড়তি কোরবানির পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পশুর হাট।  ছবি: আরিফ জাহানসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলায় ছয়টি হাট বসে। এরমধ্যে কালিতলা, সাবগ্রাম, চাঁদমুহা, জয়বাংলা, নামুজা হাট ও ঘোড়াধাপ হাট। শাজাহানপুর উপজেলায় চারটি হাট, বনানী-সুলতানগঞ্জ, রাণীরহাট, নয়মাইল ও দুবলাগাড়ি হাট। গাবতলী উপজেলায় ১০টি হাট বসে। এরমধ্যে নাড়ুয়ামালা, ডাকুমারা, পেরিরহাট, দাঁড়াইলহাট, পীরগাছা, নাংলু, কাগইল, বাগবাড়ি, তরণী, মহিষাবানহাট। শেরপুর উপজেলায় পাঁচটি হাট বসে। এরমধ্যে বারদুয়ারি হাট, ছোনকা, জামাইল, বেলঘরিয়া ও খামারকান্দি বেলতলা হাট। ধুনট উপজেলায় ৫টি হাট বসে। এরমধ্যে ধুনট সদর, হাঁসখালী সোনামুয়া, মথুরাপুর, গোসাইবাড়ী, জোড়শিমুল হাট। নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৩টি হাট বসে। এরমধ্যে রানবাঘা, ওমরপুর ও পণ্ডিতপুকুর হাট। কাহালু উপজেলায় ৬টি হাট বসে। এরমধ্যে তিনদীঘি, বিবিরপুকুর, দূর্গাপুর, মালঞ্চা ও কাহালু মাদ্রাসা হাট। দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ৪টি হাট বসে। এরমধ্যে জিয়ানগর, ধাপেরহাট, তালুচহাট ও চৌমুহনীহাট। আদমদীঘি উপজেলায় পাঁচটি হাট বসে। এরমধ্যে সান্তাহার রাধাকান্ত, আদমদীঘি, নশরৎপুর, শাঁওইল ও চাঁপাপুরহাট। শিবগঞ্জ উপজেলায় আটটি হাট বসে। এরমধ্যে বুড়িগঞ্জ, মহাস্থান, দাড়িদহ, শিবগঞ্জ সদর, মোকামতলা, ভায়েরপুকুর, আলিয়ারহাট ও পীরব সিহালী হাট। সোনাতলা উপজেলায় ছয়টি হাট বসে। এরমধ্যে বালুয়াহাট, চুকাইনগর কাচারী, সৈয়দ আহমদ কলেজ হাট, পাকুল্যা, সোনাতলা স্টেডিয়াম ও হরিখালি হাট। সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৫টি হাট বসে। এরমধ্যে রামচন্দ্রপুর, ফুলবাড়ি, মথুরাপাড়া, জোড়গাছা ও পাকেরদহ হাট।

মজিবর ব্যাপারী, আমজাদ হোসেন, শহিদুল ইসলামসহ একাধিক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, এসব হাটের মধ্যে সিংহভাগ হাট বছরের পর বছর ধরে সপ্তাহের দু’দিন নির্ধারিত দিনে বসে আসছে। এছাড়া প্রত্যেক বছরের মতো এবারও কোরবানি উপলক্ষে জেলার কয়েকটি উপজেলায় বাড়তি হাটের ব্যবস্থা করা হবে।

তারা আরও জানান, কোরবানি উপলক্ষে ইতোমধ্যেই জেলার প্রত্যেকটি হাটে পশু উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও বেশ কিছু সময় হাতে থাকায় ক্রেতা সাধারণের ভিড় তেমন একটা হচ্ছে না। তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা সাধারণের ভিড় বাড়ছে হাটগুলোয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এমবিএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।