ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

এখন গুলি খেতে হয় না, সার কৃষকদের হাতেই পৌঁছে যায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮
এখন গুলি খেতে হয় না, সার কৃষকদের হাতেই পৌঁছে যায়

ঢাকা: বিএনপি সরকারের সময় সারের জন্য কৃষককে ধরনা দিতে হয়েছিল, এমনকি প্রাণও দিতে হয়েছিল স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন সারের জন্য কৃষককে ধরনা দিতে হয় না, গুলিতে প্রাণ দিতে হয় না, কৃষকদের হাতেই পৌঁছে যায় সার। আওয়ামী লীগ সরকার সেই ব্যবস্থা করেছে।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে আয়োজিত ষষ্ঠ জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষি উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর অল্প সময়ের মধ্যে জাতির পিতা এ দেশকে গড়ে তুলেছিলেন।

কিন্তু তার নেওয়া সব উন্নয়ন পরিকল্পনা বন্ধ করে দেয় জিয়াউর রহমান ও তৎপরবর্তী (হুসেইন মুহম্মদ) এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের উদ্দেশ্যই ছিল এদেশের মানুষকে শোষণ করা। এদেশের মানুষ ভিক্ষা করবে, এটাই চেয়েছিল ক্ষমতা দখলকারীরা।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কৃষির উন্নয়নে নানা প্রকল্প-পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জমির সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অর্থনৈতিকভাবে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ।

‘বিএনপি যখন সরকারে ছিল, সারের জন্য কৃষকদের ধরনা দিতে হয়েছে। গুলি খেয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিন্তু এখন সারের জন্য ধরনাও দিতে হয় না। সারই কৃষকের হাতের মুঠোয় পৌঁছে যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তিন দফায় সারের দাম কমিয়েছে। বর্গাচাষিদের আগে ঋণ দেওয়া হতো না। আমরা তাদের জন্যও ঋণের ব্যবস্থা করে দেই। কৃষককে যেন ব্যাংকে আসতে না হয়, বরং ব্যাংকই কৃষকের দ্বারে গিয়ে তাকে ঋণ পৌঁছে দেয়, সেই ব্যবস্থাও করেছি। ’

দেশ এগিয়ে যাক- এটাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য দিয়েই দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আপদকালের জন্য খাদ্য মজুদ রাখতে হবে।

কৃষিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বিএনপিরও কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি ২১০০ সালের মহাপরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছি। অথচ বিএনপির নীতিই ছিল, এ দেশের মানুষ ভিক্ষা করবে। কিন্তু আমরা যুদ্ধজয়ী বীর জাতি, আমাদের কেন অন্যের কাছে হাত পাততে হবে?

আর যেন কখনো বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের মানুষকে ভিক্ষার হাত পাততে না হয় সেদিকে নজর রাখতে কৃষিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা ক্ষমতায় এসে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছি। আগামীবার ভোট দিলেও উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাবো, আবার ভোট না দিলে নাই। কিন্তু কৃষিবিদদের নজর দিতে বলবো, যেন আর কখনো এদেশের মানুষকে অন্যের কাছে ভিক্ষার হাত পাততে না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।