ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

বৃষ্টির অভাবে ঝিনাইদহে ব্যাহত রোপা আমনের চাষ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
বৃষ্টির অভাবে ঝিনাইদহে ব্যাহত রোপা আমনের চাষ  বৃষ্টির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে রোপা আমনের চাষ 

ঝিনাইদহ: বৃষ্টির অভাবে ঝিনাইদহে ব্যাহত হচ্ছে রোপা আমন চাষ। অনাবৃষ্টিতে জেলার ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আমন ক্ষেতগুলো ফেটে গেছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। এ অবস্থায় সম্পূরক সেচ দিয়েও উপকার পাচ্ছেনা চাষিরা। 

মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধানের গাছ থেকে বাইল বেরোনোর সময় এখন। প্রয়োজন বৃষ্টির।

কিন্তু বৃষ্টির দেখা মিলছে না। অনাবৃষ্টির কারণে রোপা আমন ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার চাষিরা। জেলার অধিকাংশ জমির পানি শুকিয়ে গেছে। যেসব এলাকায় সেচ দেওয়া শুরু হয়নি, সেসব এলাকার ধানগাছ মরে যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় জমিতে সেচ দেওয়া হলেও লাভ হচ্ছে না। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। এ অবস্থায় সম্পূরক সেচ দিতে খরচ বেশি হচ্ছে। এতে ফলন কম ও লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকদের।

সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের কৃষক রইচ উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি অভাবে মাটি ফেটে যাওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। ক্ষতি হওয়ার কারণে জমিতে সেচ পাম্প চালাচ্ছি। এতে অনেক তেল ও বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। তারপরও ধানের উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে।   
বৃষ্টি অভাবে মাটি ফেটে যাওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের
জামতলা গ্রামের কৃষক মামুন মণ্ডল বলেন, এখন পানির খুব প্রয়োজন। পানি না হওয়ার কারণে ধানে পোকা-মাকোড়, পচা লাগা, ধাপা ধরা, এগুলো এখন খুব বেশি আছে।

ডেফলবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধানে বাইল বের হচ্ছেনা। সেচ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। বৃষ্টির পানি ছাড়া এ পানি দিয়ে ধানে বাইল বের হবেনা ফলন-তো দূরের কথা।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর জেলার ছয় উপজেলায় রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে ১ লাখ ২৫০ হেক্টর জমিতে। রোগবালাই রোধে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুযায়ী কৃষক চাষাবাদ করলে আশা করছি ফলন কম হবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।