ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

এবার বগুড়ায় আমনের চাল নেবে ৩৯৯৭২ মেট্রিক টন

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এবার বগুড়ায় আমনের চাল নেবে ৩৯৯৭২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের কার্যাক্রমের উদ্বোধন করেছেন বগুড়ার ডিসি ফয়েজ আহাম্মদসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: শস্য ভান্ডারখ্যাত বগুড়ায় সরকারিভাবে অভ্যন্তরীণ রোপা-আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হয়েছে। খাদ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিকেজি সেদ্ধ চাল এবার ৩৬ টাকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারিভাবে এবার জেলার ১২টি উপজেলায় এবার ৩৯ হাজার ৯৭২ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হবে। সে অনুযায়ী গত ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারকে চাল দিতে এ জেলার ১ হাজার ৯২৫জন লাইসেন্সধারী মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

ইতোমধ্যেই অভ্যন্তরীণ আমন জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফয়েজ আহাম্মদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) শেরপুর ও মির্জাপুর খাদ্যগুদামে সরকারিভাবে চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত আলী সেখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন-উর-রশিদ, উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, উপজেলা সেমি অটো রাইচ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন ও মুকুল হোসেন টুডু প্রমুখ।

তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার এ জেলায় বরাদ্দ কম এসেছে। ২০১৭ সালে বোরো মৌসুমে এ জেলায় ৬৮ হাজার ৮০৮ মেট্রিক টন চাল সরকারিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছিলো। কিন্তু এবার জেলায় বরাদ্দ কম আসলেও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি মিলাররা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বগুড়া সদর উপজেলায় ২ হাজার ৫৮৮ মেট্রিক টন, শাজাহানপুর উপজেলায় ১ হাজার ৮৫৫ মেট্রিক টন, শিবগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন, সোনাতলা উপজেলায় ১ হাজার ৩২৩ মেট্রিক টন, গাবতলী উপজেলায় ১ হাজার ৯১৬ মেট্রিক টন, সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১ হাজার ২৪৯ মেট্রিক টন, ধুনট উপজেলায় ১ হাজার ৬৬১ মেট্রিক টন, শেরপুর উপজেলায় ৬ হাজার ১৫৩ মেট্রিক টন, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২ হাজার ১৩ মেট্রিক টন, কাহালু উপজেলায় ২ হাজার ৬১৭ মেট্রিক টন, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ৮ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন ও আদমদীঘি উপজেলায় ৭ হাজার ৭৬৭ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, এবার খাদ্য শস্য উৎপাদন ও মিলের ক্রাশিং ক্ষমতার ওপর সারাদেশে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী এ জেলায়ও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ মিলাররা ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল দিতে পারবেন। এছাড়া ইতোমধ্যেই ৫ হাজার মেট্রিক টনের অধিক চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এমবিএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।