ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

২০২২ সালে মাছ উৎপাদনে প্রথম হবে বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
২০২২ সালে মাছ উৎপাদনে প্রথম হবে বাংলাদেশ প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশে মাছ উৎপাদনে বড় ধরনের সাফল্য এসেছে। ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে চলতি অর্থ বছরে। এভাবে উৎপাদন হলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে মাছে বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন।

সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিবিএস আয়োজিত বাস্তবায়নাধীন কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি প্রকল্পের আওতায় ২য় জোনাল অপারেশনে নিয়োজিত বিভাগীয়/জেলা সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষ্ণা গায়েন বলেন, কৃষি অবকাঠামোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে পরিসংখ্যান ব্যুরো কৃষি শুমারি ২০১৮ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এটি বিবিএস’র একটি বড় কাজ। যা পারস্পরিক সহযোগিতা ও কর্মনিষ্ঠা ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে চার নম্বরে। পাঙাশ, তেলাপিয়া ও রুই জাতীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চীনের উদ্ভাবিত মাছের জাত এখন বাংলাদেশের সাফল্য। এসব দেশকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাছ উৎপাদনে প্রথম চীন এবং দ্বিতীয় ভারত। ২০২২ সালে বাংলাদেশই মাছ উৎপাদনে প্রথম হবে।

এসময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বিকাশ কিশোর দাস বলেন, বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, এনজিও, গবেষণা সংস্থা ও কৃষি বিষয়ক সংস্থাগুলো এসব পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণের জন্য হালনাগাদ কৃষি বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত প্রাপ্তির ব্যাপক চাহিদা দিয়েছে। আর হালনাগাদ কৃষি বিষয়ক কাঠামো ও তথ্য-উপাত্ত প্রস্তুতের পদক্ষেপ হিসেবে বিবিএস কৃষি শুমারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাফর আহাম্মদ খান বলেন, কৃষি শুমারি প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী কৃষিসহ সব ধরনের খানার অবকাঠামোর তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমে প্রস্তুতিমূলক জোনাল অভিযান হচ্ছে। এটা শেষে দেশের সব সাধারণ খানায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খানাগুলোর তালিকা তৈরি করা হবে। তালিকা অনুসারে নির্বাচিত খানাগুলোর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
 
বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন এবং মাহমুদা আকতার।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।