ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

পানির অভাবে ফসল বুনতে পারছে না পূর্বধলার কৃষকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
পানির অভাবে ফসল বুনতে পারছে না পূর্বধলার কৃষকরা

নেত্রকোণা: নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার উপলা গ্রামে সেচ মেশিন ব্যবহারে অনুমিত নিয়ে জটিলতায় পানির অভাবে ফসল বুনতে পারছে না কৃষকরা। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে প্রায় ৪০০ কাঠার মতো জমির ধান থেকে কৃষক বঞ্চিত হবে। এতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে স্থানীয়ভাবে সেচ মেশিন থাকলেও তা ব্যবহারে অনুমিত নিয়ে জটিলতায় সাধারণ কৃষকরা এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

উপলা গ্রামের কৃষক ছায়েদ খাঁ, আব্দুল আলী মড়ল, ও বাবুল শেখের অভিযোগ, ‘দীর্ঘ ২০ বছর ধরে স্থানীয় ব্যক্তি আজিজুল হকের সেচ মেশিন থেকে কৃষিকাজে পানি ব্যবহার করা হতো।

বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ডিজেল ব্যবহার করে অধিক খরচে ফসল বুনতে হতো কৃষকদের। এ বছর সরকার যখন গ্রামে বৈদ্যুৎ লাইন দিয়েছে ঠিক তখন কোনো ধরনের পর্যবেক্ষণ ছাড়াই রহস্যজনকভাবে উপজেলা সেচ কমিটি মঞ্জুরুল হক নামে এক ব্যক্তিকে সেচ মেশিন চালানোর অনুমিত দেয়। ’

‘কিন্তু মঞ্জুরুল এখন পর্যন্ত কৃষকদের পানি দিতে পারছেন না। এমনকি সেচ মেশিনের ঘর কিংবা পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও করেননি তিনি। কেনো ওই ব্যক্তিকে কোনো লাভের আশায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে?’ প্রশ্ন স্থানীয় কৃষকদের।

কৃষকরা আরও বলেন. ‘সরকারের দেওয়া বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচ মেশিন চালিয়ে কৃষিকাজে পানি ব্যবহার করতে পারলে ফসল উৎপাদনে কাঠাপ্রতি ৭০০ টাকা খরচ কমে হবে। এতে কৃষকরা লাভবান হবে। ’

ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘পানি-সংকটে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছে না। এতে ওই কৃষকদের চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। যে ব্যক্তিকে বিএডিসি থেকে সেচ মেশিন ব্যবহারে অনুমিত দেওয়া হয়েছে তিনি কৃষকদের পানি দিতে পারবে বলে মনে হয় না। ’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেচ কমিটির সদস্য সচিব বিএডিসি সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) শেখ আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সেচ কমিটির সভাপতি বিষয়টি দেখবেন।

সেচ কমিটির সভাপতি পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নমিতা দে বাংলানিউজকে বলেন, সদস্য সচিব বিষয়টি দেখবেন। কারণ যে ব্যক্তি (আজিজুল) সেচ মেশিনে কৃষকদের পানি দিতে পারবেন সভাপতি হিসেবে আমি তার জন্যই প্রতিবেদন দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।