ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

শস্যের নতুন জাত উদ্ভাবনে যৌথভাবে কাজ করবে কানাডা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
শস্যের নতুন জাত উদ্ভাবনে যৌথভাবে কাজ করবে কানাডা কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক-কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত বেনোইত প্রিফন্টেইন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কৃষি গবেষণায় জার্মপ্লাজম, শস্যের বৈচিত্রায়ন ও শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোইত প্রিফন্টেইন।

কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোইত প্রিফন্টেইন বলেন, চলতি বছরে তারা খাদ্য নিরাপত্তায় সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ও সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রাধান্য পাবে। একইসঙ্গে কৃষিখাতে প্রশিক্ষণসহ টেকনিক্যাল সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

ছয় সদ্যসের প্রতিনিধিদলে ছিলেন কানাডিয়ান হাইকমিশনের ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন, কানাডিয়ান কর্মাশিয়াল করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস পল মারকট ও এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ইয়োভনি চিন প্রমুখ।

এ সময় দু’দেশের রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়।

বেনোইত প্রিফন্টেইন বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন বেশ লক্ষ্যণীয়। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন ও বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ়করণের লক্ষ্যে কাজ করছে কানাডা। কানাডার বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা যেকোনো দেশের ব্যবসায়ী সমাজের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগখাত সম্পর্কে অবহিত হতে রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেন।

কৃষিমন্ত্রী ড.  মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। একইসঙ্গে কৃষির উপখাতেও ভালো অগ্রগতি হয়েছে। দেশের পোল্ট্রি শিল্প এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফসল, সবজি ফলসহ পোল্ট্রি ও ডেইর ফার্মেও উৎপাদন ভালো। সবক্ষেত্রে উৎপাদন ভালো হলেও উৎপাদনকারীরা তেমন লাভবান হচ্ছে না। উৎপাদন খরচ ও বিক্রির মধ্যে তেমন তারতম্য নেই। অনেক সময় উৎপাদন খরচের চেয়ে বিক্রি কম দামে করতে বাধ্য হয় উৎপাদনকারীরা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের যথাযথ বিকাশ হলে কৃষিখাত লাভবান হবে। একইসঙ্গে তৈরি হবে কর্মসংস্থানের নতুন ও বৈচিত্রময় ক্ষেত্র। এক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগের কানাডার সহযোগিতা চাই। এছাড়া আমাদের কৃষিবিজ্ঞানী, গবেষকদের এবং টেকনিশিয়ানদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে এ খাতে আরও লাভবান হবে। যা জাতীয় অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রিজ স্থাপনে এখন আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের কোনো সমস্যা নেই। দেশে বিনিয়োগের নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান, বিনিয়োগে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ।

এ সময় উপস্থিত কানাডিয়ান কর্মাশিয়াল করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস পল মারক বলেন, তারা নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ুজনিত সমস্যা মোকাবেলায় বিনিয়োগ করতে চায়।

তিনি বাংলাদেশে সোলার প্যানেলের ইন্ডাস্ট্রিজ করার আগ্রহের কথা বলেন।

কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাত, সংরক্ষণ, বাজারজাত-রফতানিকরণে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ অংশিদারিত্বে কাজ করবে দেশটি। এক্ষেত্রে তাদের দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের এদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবেন।

১৯৭২ সালে এ দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দেশটি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
জিসিজি/এএটি

***বিমানবন্দরের উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী কানাডা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।