ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

কৃষকের ন্যায্যমূল্যের কথা আমরা ভাবছি না: খাদ্যমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
কৃষকের ন্যায্যমূল্যের কথা আমরা ভাবছি না: খাদ্যমন্ত্রী সেমিনারে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ অতিথিরা, ছবি: শাকিল

ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম দু-এক টাকা বাড়ালেই উথাল-পাতাল শুরু হয়ে যায়। বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনো কথা নেই। আমরা কেউ আসলে কৃষকের কথা ভাবছি না। তাদের অবস্থা কী আমরা জানি? কৃষক চাল উৎপাদন করা ছেড়ে দিতে চায়। কৃষকের কথা চিন্তা করে, তাদের ন্যায্যমূল্য দিতে গেলে মোটা চালের দাম হবে ৪০ টাকা। আর চিকন চালের দাম হবে ৬০ টাকা। তখনই সবাই আমার বিরুদ্ধে মিছিল করা শুরু করে দেবে।

এসময় মন্ত্রী ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিবো কোথা’ এমন একটি পরিস্থিতি চলছে বলে জনগণকে উদ্দেশ্য করে একটি মন্তব্য করেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার এও বলেন, খাদ্য আছে বলে এখন পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমরা ভাবতে পারছি।

আমরা কিন্তু এখন পলিশ করা চাল খেতে চাই। প্রতি কেজি চাল পলিশ করতে দুই টাকা করে খরচ হয়। বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষও মিনিকেট চাল খেতে চায়। আমি এই চালের নাম দিয়েছি মিনি কাট। কারণ মোটা চাল কাটতে কাটতে ছোট করেই মিনিকেট বানানো হয়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য: খাদ্য অধিকার প্রসঙ্গ’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, পাশের দেশের জনগণ নিয়মিত রাজস্ব দেয়। রাজস্ব দিয়ে তারা গর্ব করে বলে আমি রাজস্ব দেওয়া নাগরিক। আর আমাদের দেশের জনগণ যতো পারে, ততো বেশি করে রাজস্ব ফাঁকি দেয়। যে যতো বেশি রাজস্ব ফাঁকি দিতে পারে, সে দেশের ততো বড় নাগরিক।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সেমিনারটির আয়োজন করে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক খাদ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান আইসিসিও কো-অপারেশন বাংলাদেশ।

সেমিনারে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ড. শাহ নেওয়াজ বলেন, খাদ্যের সঙ্গে পুষ্টির সম্পর্ক আছে। জীবনযাপনের সঠিক খাদ্যাভ্যাসের চর্চা থাকতে হবে। মাতৃগর্ভ থেকেই শিশুর পুষ্টির নিশ্চয়তার জন্য শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, আইসিসিও কো-অপারেশন বাংলাদেশ কর্মসূচির প্রধান আবুল কালাম আজাদ, খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমএমআই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।