ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

‘ভালো মানের বীজ লাগালে ২০ শতাংশ অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
‘ভালো মানের বীজ লাগালে ২০ শতাংশ অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব’ বক্তব্য রাখছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আশরাফ উদ্দীন আহমেদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ভালো মানের বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ অনু বিভাগের মহাপরিচালক আশরাফ উদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, সপ্তম-পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা ও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে চাহিদা মাফিক ভালো মানের বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সস্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বীজ মেলা ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ তিনি এ কথা বলেন।

আশরাফ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ফসলের উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। এজন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী কর্মসূচি ও নীতি বাস্তবায়ন করছে। ফলে খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৪০৯ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে যার ফলে দেশ খাদ্যেস্বয়ংসম্পূর্ণ। আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।

২০২০-৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভালো মানের বীজের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের ওই সচিব ।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ফরম্যাল সেক্টরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ২৬ শতাংশ ভালো মানের বীজ চাষি পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। প্রধান দানাশস্য ফসল ধান ও গমের ক্ষেত্রে মানসম্মত বীজের সরবরাহ যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৭৮ শতাংশ ধান বীজের ক্ষেত্রে মৌসুমওয়ারী বোরো, আউশ ও আমন মৌসুমে ভালো মানের বীজের সরবরাহ শতকরা হার যথাক্রমে ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ৫৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এছাড়া বাংলাদেশে এসডিজি-২ অর্জনের জন্য ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের মানসম্মত বীজের সরবরাহ ২০২০-২১ সালে ৪ লাখ ৪ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন, ২০১৪-২৫ সালে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন এবং ২০২৯-৩০ সাড়ে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টনে উন্নীত করা প্রয়োজন।

আশরাফ উদ্দীন বলেন, কৃষির মূল উপকরণ হচ্ছে বীজ। বীজ উদ্ভিদ জগতের ধারক ও বাহক। বীজই ফসল উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ফসলের উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, যার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হলো ভালো মানের বীজ ।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় বিগত ১০ বছরে ধান-গম, পাট-ভুট্টা, সবজি, তেল ও মসলাসহ বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্মত বীজ সরবরাহ দেড়গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্মত বীজ উৎপাদনের পরিমাণ এ পর্যন্ত এক লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১২ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টনের প্রয়োজনের বিপরীতে উৎপাদিত ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯২২ মেট্রিক টনের বেশি উৎপাদিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ জুন ২৭, ২০১৯
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।