ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

হাঁড়িভাঙা আমে লোকসানে চাষি, লাভ হচ্ছে পাইকারদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
হাঁড়িভাঙা আমে লোকসানে চাষি, লাভ হচ্ছে পাইকারদের

নীলফামারী: সারি সারি আমের বাগান। ঘ্রাণে ঘ্রাণে মাতোয়ারা পথঘাট। আমের রঙে ভিন্নতা—ওপরে সবুজ-সজীব। কিন্তু ভেতরে উজ্জ্বল কমলা রঙের আভা। স্বাদে, রসে ও ঘ্রাণে অনন্য। এ আম সবাই চিনে এক নামে ‘হাঁড়িভাঙা’।

হাঁড়িভাঙা এখন পাকতে শুরু করেছে। গাছ থেকে আমচাষিরা নিয়ে যাচ্ছেন বাজার-ঘাটে।

হাড়িভাঙার চাহিদা ও বিক্রি অনেক ভালো। কিন্তু বিক্রি করেও অনেক চাষি লোকসান গুনছেন। অন্যদিকে আগাম আমের বাগান কিনে নেওয়ায় লাভবান হচ্ছেন পাইকাররা। এ যেন অনেকটা ‘পরের ধনে পোদ্দারি’র মতো।

হাঁড়িভাঙা আমের বিশাল হাট বসে রংপুরের বদরগঞ্জের পদাগঞ্জে। তবে সৈয়দপুর থেকে লালদীঘি হয়ে বদরগঞ্জ যাওয়ার পথে চোখে পড়ে হাঁড়িভাঙা আমের সারি সারি বাগান। বাগানের থোকায় থোকায় ঝুলে আছে ছোট-বড় অসংখ্য আম। সেখানে সারাক্ষণ পাহারায় রয়েছেন পাইকারদের লোকজন।  

সরেজমিনে বদরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের বাংলারহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাজু ও সাগর নামে দুই ভাই প্রায় ২ বিঘা জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের চারাগাছ রোপণ করেন বছর দুয়েক আগে। সেখানে ৪১২টির মতো গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ২০ কেজি থেকে এক মণের মতো আম ধরেছে।

গাছে আম আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা সেটি বিক্রি করেন মাত্র ৪২ হাজার টাকায়। সেই বাগান কিনে নেন হায়দার আলী নামের একজন। তিনি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন পাইকারের কাছে। অন্যদিকে বর্তমানে বাজারে হাঁড়িভাঙা আম রকমভেদে ৬০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ওই আম বিক্রি করে পাইকাররা দ্বিগুণের বেশি আয় করছেন।

এ অঞ্চলে হাঁড়িভাঙা গাছ থেকে পাড়া শুরু হয়েছে। ফলে পাইকাররা স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের নানা প্রান্তে পাঠাচ্ছেন। এতে করে আমচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হচ্ছেন পাইকাররা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এমএমইউ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।