ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

পঞ্চগড়ে বাদামের বাম্পার ফলন, ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৯
পঞ্চগড়ে বাদামের বাম্পার ফলন, ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কা বাদাম, ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ফলন বাম্পার হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় বাদাম চাষিরা। পঞ্চগড়ের মাটি ভৌগলিক কারণে উঁচু বেলে-দোআঁশ মাটি। এ মাটিতে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি বাদাম চাষের জন্য উৎকৃষ্ট।

পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলায় এবার পর্যাপ্ত পরিমাণে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে ঝুঁকি কম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা বাদামের ক্ষেত থেকে প্রচুর পরিমাণে বাদাম ঘরজাত করতে পারবে।

শুধু বাদাম চাষিদের শঙ্কা দাম নিয়ে।

প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এ জনপদের অর্থনীতিতে নতুনমাত্রা যোগ করবে।

এদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাদাম চাষি জব্বার মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এবার ধানের সঠিক দাম পাইনি আমরা। যদি ধানের মতো বাদামের সঠিক দাম না পায় তবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সব চাষিরা। বাদামের ক্ষেত, ছবি: বাংলানিউজএকই উপজেলার তিরনইহাট এলাকার জমির উদ্দীন জানান, একবিঘা বাদাম চাষে সার, বীজ, কীটনাশক, শ্রমিকসহ প্রায় ৮/১০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মণ বাদাম উৎপাদিত হয়। চলতি বছর ইরি-বোরো ধানের দাম পাইনি। বাদামের ন্যায্য দাম পেলে ধান চাষের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু হানিফ বাংলানিউজকে জানান, এবছর জেলায় ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ঢাকা ০১, বিনা বাদাম, বারী বাদাম ৩ ও ৪ জাতের বাদাম চাষ হয়েছে, যা গত বছর ছিলো ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর। এ বছর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বেশি বাদাম চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ নানা ধরনের পরামর্শ মাঠ পর্যায়ে থেকে কৃষকদের সহায়তা করে আসছেন। বাদামের চাষ ভালো হয়েছে এবং কৃষকরা দাম ভালো পেলে বাদাম চাষ আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।