ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

সিলেটে পেঁয়াজ কিনতে এখনো দীর্ঘসারি!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
সিলেটে পেঁয়াজ কিনতে এখনো দীর্ঘসারি! পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার দীর্ঘসারি। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: পেঁয়াজের দাম কমেও যেনো কমছে না। আড়াইশ’ থেকে ১৩০ টাকা কমলেও এখনো ১২০ টাকা পেঁয়াজের কেজি।

সিলেটের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ১৩০ টাকা এবং পাইকারি বাজারে ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায়ও যখন ক্রেতাদের নাভিশ্বাস, খানিকটা হলেও প্রশান্তি যোগাচ্ছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) থেকে সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্রেতাদের কাছে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি।

এর আগে র‌্যাবের অভিযানে জব্দ করা পেঁয়াজ বিক্রি করেছিল টিসিবি। ৪৫ টাকা দরে ওই পেঁয়াজ নিতে মানুষের ভিড় ছিল স্মরণীয়। এবার সরকারের আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করছে টিসিবি। ক্রেতাদের কাছে এককেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার দীর্ঘসারি।  ছবি: বাংলানিউজসরেজমিন দেখা যায়, নগরের রিকাবিবাজার পয়েন্ট সংলগ্ন সড়কের পাশে ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনে নিচ্ছেন।

লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে আসা মাসুম আহমদ বলেন, বাজারে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে। এ অবস্থায় কিছুটা কষ্ট হলেও লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনে নিচ্ছি।

সিলেট নগরের রিকাবি বাজারের মুদিদোকানি রুকন আহমদ বলেন, পেঁয়াজ এখনো তারা ১৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও সিলেটের পাইকারি বাজারে কিনতে গেলে ভালো পেঁয়াজ পাওয়া যায় না। যেগুলো কিনে আনছি, এর মধ্যে কয়েক কেজি পচা বের হয়। ফলে গাড়ি ভাড়াসহ মিলিয়ে ১৩০ টাকা বিক্রি না করলে পোষায় না। পেঁয়াজ।  ছবি: বাংলানিউজটিসিবি সিলেটের আঞ্চলিক কর্মকর্তা ইসমাইল মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ১৩ টন পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে সিলেট নগরের রিকাবিবাজার ও সার্কিট হাউসের সামনে দু’টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। মৌলভীবাজারে আরও দুইটি ট্রাকে করে এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় তিনটি ট্রাকে। এছাড়া বিকেলের দিকে আরও তিনটি ট্রাকে পেঁয়াজ যাবে সিলেট নগরে। ওই ট্রাকগুলোর একটি বঙ্গবীর রোডে, অন্যটি ক্বিনব্রিজ মোড়ে এবং রিকাবিবাজার পয়েন্টে মানুষের দীর্ঘসারি থাকায় ওখানে পেঁয়াজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি ট্রাকে যোগান দেবে।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল উপকরণ। তাই রাখা যায় না। এ জন্য রাতে চালান আসলেই পর দিন বিক্রি করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।