ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

আগাম আলুতে কৃষকের হাসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
আগাম আলুতে কৃষকের হাসি আলু, ছবি: বাংলানিউজ

ঠাকুরগাঁও: আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের আলু চাষিরা। আগাম জাতের আলু চাষ করে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

কৃষকরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপকভাবে আলুর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।

ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে বিভিন্ন সবজি চাষে ঝুঁকছে কৃষকেরা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের জুয়েল রানা বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর আলুর দাম অনেক বেশি। তাই এবার আগাম আলু চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছি। আলুক্ষেতে কৃষক কাজ করছেন। বালিয়া ইউনিয়নের আলুচাষি কালাচাঁন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর ৩০-৪০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। এবারও ৩০ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছি। গতবারের থেকে এবারের দাম অনেক ভালো। প্রতি বিঘায় আলুর চাষ করতে আমার খরচ হয়েছে ২৫-৩০ হাজার। এতে ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা আলু বিক্রি আছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। গত বছর আলুর দাম ছিল ৮-১০ টাকা। এবার আমরা আলু বিক্রি করেছি ১৭-১৮ টাকা।

দিনমজুর রাবেয়া বাংলানিউজকে জানান, আমার এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাই। কালাচান মিয়া ভাইয়ের আলুর খামারে কাজ করে আমাদের সংসার চালাই। আমরা প্রায় ২০-২৫ জন একসঙ্গে কাজ করি। এতে আমাদের বাইরে কাজ করতে যেতে হয় না। কালাচান মিয়া ভাইয়ের কৃষি খামারে কোনো না কোনো কাজ থাকে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে জেলায় আলু চাষ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে আট হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এবারে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আগাম জাতের আলুর ফলন ভালো হওয়ায় চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি বেশ উর্বর তাই ফলন ভালো হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে আলু।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।