ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

সরিষা মধু উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
সরিষা মধু উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

মাগুরা: এখন সরিষার মৌসুম। মাগুরার গ্রামের মাঠকে মাঠ যেন সরিষা ফুলের হলুদ চাদর বিছানো। আর এ সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ-বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ চাষিরা। এ বছর সরিষা মৌসুমে মধুর উৎপাদন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে সরিষা মধু উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।

কৃষি বিভাগ বলছে, তারা মৌ চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করছে। চলতি সরিষার মৌসুমে মাগুরা জেলায় ৪০ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হবে বলে তাদের আশা।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আর এ সব সরিষার ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহের জন্য এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষিরা। কারণ সরিষা ফুলের মৌসুমই মৌ চাষিদের মধু সংগ্রহ করার মূল সময়। এ বছর মাগুরায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০ জন খামারি সরিষা ক্ষেতের পাশে তিন হাজার বক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন। এক-একজন মৌ খামারি এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ মন মধু সংগ্রহ করেছেন। সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় মধুর উৎপাদনও বেশি হচ্ছে। যে কারণে লাভবান হচ্ছেন মৌ চাষিরা। অল্প পুঁজিতে মৌ খামার করে বেকার সমস্যা সমাধান হওয়ায় অধিকাংশ মৌ-চাষি সন্তোষ প্রকাশ করছেন। অনেকে আগামীতে লাভজনক এ চাষ করার জন্য আগ্রহও জানিয়েছেন।
গ্রামের মাঠকে মাঠ যেন সরিষা ফুলের হলুদ চাদর বিছানোমাগুরা সদরের হাজরাপুর ইউনিয়নের মৌ চাষি রজব আলী ও মকলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এবার মৌসুমের সরিষা ক্ষেতের পাশে দেড়শ’ মৌ-বাক্স বসিয়েছি। এ পর্যন্ত বাক্সগুলো থেকে চার বার মধু সংগ্রহ করা হয়ে গেছে, যা থেকে এক একজন ৩০ থেকে ৩৫ মণ মধু সংগ্রহ করেছি। অল্প খরচে মৌ চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় চাষিদের পাশাপাশি অনেক বেকার যুবক এ চাষ করার জন্য আগ্রহী হচ্ছেন। তারা আমাদের কাছে এসে বিভিন্ন পরামর্শও নিচ্ছেন।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন, সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষের বাক্স বসানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও কৃষকদের মধ্যে আধুনিক মৌ বাক্স সরবরাহ করা হয়েছে। এ বছর সরিষা মৌসুমে জেলায় ৪০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ হবে বলে আশা রাখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।