ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

বিদেশি মাছ এনে চাষ করা হবে: মৎস্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
বিদেশি মাছ এনে চাষ করা হবে: মৎস্যমন্ত্রী

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মিঠা পানি, স্বাদু পানি ও লবণাক্ত পানির মাছ যেগুলো দেশের পরিবেশ নষ্ট করবে না, মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটাবে এবং কোনোভাবেই ক্ষতিকর নয়, সে জাতীয় মাছের প্রজাতি দেশের বাইরে থেকে এনে দেশে বিস্তার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানার লেকে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্মসচিব তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদারসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যার ছোট পুকুর আছে, ভরাট জলাশয় আছে, যাদের মাছের খামার আছে তাদের আমরা সহযোগিতা করছি। বিভিন্ন কৌশলগত অবস্থান নিয়ে প্রায় ৬৫ প্রকারের মাছের প্রজনন ও জাত বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের হারিয়ে যাওয়া মাছগুলো আধুনিক খামার ব্যবস্থা ও আধুনিক প্রজনন ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন করে নিয়ে আসছি। দেশে নিজস্ব প্রজাতির মাছ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি হওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিবছর প্রাতিষ্ঠানিক ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় চিড়িয়াখানার উত্তর ও দক্ষিণ লেকের ৩২ একর আয়তনের জলাশয়ে আজ ৮০০ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০-১৫ সেন্টিমিটার আকারের ২৬০ কেজি কাতলা মাছের পোনা, ২৮০ কেজি রুই মাছের পোনা এবং কালিবাউস ও মৃগেল মাছের ২৬০ কেজি পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মৎস্য অধিদপ্তর সমগ্র দেশের উন্মুক্ত জলাশয়ে ২০০.৬৩ মে. টন মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে।

মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাবার জন্য মৎস্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে মাছ। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মৎস্য ও প্রাণিজ খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ জড়িত। তারা দেশের চাহিদা যেমন মেটাচ্ছে, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা এনে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সবল করছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। ’ এটা বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কর্মসূচি নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে। পুষ্টির সরবরাহের জন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করাসহ উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত খামারিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে।

পোনা মাছ অবমুক্তকরণ শেষে মন্ত্রী জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।