ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

মধুপুর বিএডিসির জমি প্লাবিত, আমন চাষ-বীজ উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২০
মধুপুর বিএডিসির জমি প্লাবিত, আমন চাষ-বীজ উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা পানিতে নিমজ্জিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিএডিসি’র ২৫০একর আবাদী জমির একাংশ। ছবি: বাংলানিউজ

মধুপুর(টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের মধুপুর বিএডিসির আবাদযোগ্য ২৫০ একর জমি চলমান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে আমন ধানের চারা প্রস্তুত থাকলেও তা রোপণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

চারার বয়স বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে বীজ উৎপাদনেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কাকরাইদস্থ বিএডিসির খামার দেশের অন্যতম বীজ উৎপাদন খামার। প্রতি বছর এ খামারের ৩৪৫ একর আবাদী জমির উৎপাদিত ধানসহ নানা ফসল বিশেষ করে আলু, ভুট্টা ইত্যাদি বীজ বিএডিসির মাধ্যমে সারাদেশে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ হয়ে থাকে। বিএডিসির মধুপুর খামারের ওই ৩৪৫ একরের মধ্যে ২৫০ একর জমি চলমান বন্যার পানিতে ডুবে আছে। ৮ জুলাই থেকে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  

খামারটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গুজা খাল ও পাশের বংশাই নদীর পানি উপচে পড়ার কারণে এর আবাদী জমির প্রায় পুরোটাই পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জমিতে বর্তমানে কোমর সমান পানি। প্রায় প্রতি বছর নদী ও খালের পানিতে জমি প্লাবিত হলেও চাষ করার আগেই নেমে যায়। জমির উপরিভাগে পলি পড়ে ফসলও ভালো হয়। কিন্তু এবারের বন্যায় খামারের চলতি আউশ মৌসুমের ৪৫ একর জমির মধ্যে ব্রি-৪৮ জাতের ধান ৫ একর জমির বীজ ফসল নিমজ্জিত হয়ে আছে। এতে কাইচ থোড় অবস্থা থাকায় ওই আউশ ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিএডিসির চাষবাসের প্রস্তুতি থাকার পরও বন্যার পানিতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

মধুপুর বিএডিসির উপ পরিচালক (খামার) সঞ্জয় রায় এমন তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে এক প্রেসনোটে জানান, বিএডিসির নানামূখী প্রচেষ্টার কারণে আমন ২০২০-২১ মৌসুমের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও আমন মৌসুমের রোপণকৃত ব্রি ধান ৮৭ জাতের ১০ একর এবং বিনা ধান ১৭ জাতের ১২ একরসহ ২২ একর জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে রয়েছে।  

চলতি আমন ২০২০-২১ মৌসুমের ২৪২ একর জমিতে প্রায় ৩৮৫ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কেবল ৬০ একর জমি রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। অতিদ্রুত বিশেষ করে মধ্য আগস্টের মধ্যে জমি থেকে এ পানি না নামলে অনিশ্চয়তা বেড়ে যাবে। চারার বয়স বৃদ্ধি পেয়ে রোপণ অনুপযোগী হয়ে পড়লে বীজ উৎপাদন নিয়েও তৈরি হবে সংকট। তবে এ সময়ের মধ্যে পানি নেমে গেলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিএডিসি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলেও উপ পরিচালক সঞ্জয় রায় নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।