ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হবে ‘টক আতা’

মঈন উদ্দীন বাপ্পী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হবে ‘টক আতা’ গাছে ঝুলছে টক আতা। ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী কৃষি গবেষণাকেন্দ্র এইবার ‘টক আতা’র চাষ করে সফলতা দেখিয়েছে। ইংরেজিতে ফলটিকে বলা হয়, ‌‘সাওয়ারসপ’।

রাইখালী কৃষি গবেষণাকেন্দ্রে থেকে জানানো হয়, ফলটির উৎপত্তি স্থল দক্ষিণ আমেরিকায় হলেও এখন বিশ্বে ফলটির চাহিদা ও কদর বেড়েছে।  

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফলটিকে ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলটি খেতে অধিক সুস্বাদু এবং ফলটির গাছের পাতা এবং বাকলের রস খেলে শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলতাফ হোসেন বলেন, চার বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই গাছের চারা এনে রাইখালী গবেষণাকেন্দ্রে লাগানো হয়। গত ২ বছর ধরে গাছগুলোতে ফল ধরছে। আমাদের কেন্দ্রে ২৫টি টক আতার গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরে,  প্রতি ফলের ওজন এক কেজির মতো হয়।

এ কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা চলতি বছর থেকে রাঙামাটিতে ফলটির বাণিজ্যিক চাষের উদ্যোগ নিচ্ছি এবং কৃষকদের ফলটি চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান বলেন, এ ফলটি আমি খেয়েছি। অনেক সুস্বাদু। এর স্বাদ আতা ফলের মতো।

ইউএনও আরও বলেন, এ গাছের পাতার সেদ্ধ পানি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমায়, হাইপারটেনশন থেকেও মুক্তি মেলে এবং শরীর তরতাজা থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।