ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

পাবনায় পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে কৃষক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
পাবনায় পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে কৃষক

পাবনা: প্রতিবছরের মতো চলতি মৌসুমেও পাবনা জেলায় পাটের বাম্পার আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে জেলাতে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে।

এই মৌসুমি  জেলায় ৫২ হাজার ৯শ মেট্রিকটন পাট পাওয়া যাবে।  

পাবনা সদরসহ সুজানগর, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর বিল অঞ্চলগুলোতে এই বছরে পাটের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। তবে পানির অভাবে অনেক স্থানে পাটের গাছ কিছুটা পুড়ে  গেছে। তবে সবচাইতে বেশি সমস্যা হয়েছে পাট জাগ দেওয়ার পানি না থাকায়। এ কারণে মাঠ থেকে পাট কাটতেও দেরি করছেন কৃষক।

বিগত বছরগুলোতে আগাম বর্ষার কারণে পাট পানিতে তলিয়ে গেছে। কিন্তু এই বছরে শুষ্ক মৌসুম থাকায় কৃষকের পাট কাটতে সমস্যা না হলেও পাট জাগ দেওয়ার স্থানের সংকটে পড়তে হয়েছে। তাই অনেক কৃষককে মাঠের পাট কেটে আবার সেটি জাগ দেওয়ার জন্য যে খরচ হয়েছে সেটি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা। তিন ধাপে লেবার ও দুই ধাপে পরিবহন খরচ দিয়ে কি দামে পাট বিক্রি হবে সেটি বুঝতে পারছেন না কৃষকরা।

জেলাতে নিচুর অঞ্চলগুলোতে কৃষকেরা পাট কেটে জাগ দিয়ে সেই পাট ইতোমধ্যে ছাড়াতে শুরু করেছে। পাটের বাজারে পাট কেনা বেচাও শুরু হয়েছে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন হাটে ভোর থেকে পাট কেনা বেচা হচ্ছে। বিশেষ করে পুষ্পপাড়া, হাজিরহাট, আতাইকুলা, আটঘরিয়া, দেবত্বর, চাটহোরের বিভিন্ন হাটে পাট উঠতে শুরু করেছে। তবে খালবিলে পানি স্বল্পতার কারণে বেশিরভাগ স্থানে স্থির পানিতে পাট জাগ দেওয়ার কারণে পাটের সোনালি রং ভালো আসছে না। বেশি আর চলমান পানিতে পাট জাগ দিতে পারলে সোনালি পাটের মূল চেহারা ফুটে উঠতো বলে মনে করছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) ড. মো. সাউফুল আলমের দেওয়া তথ্যমতে, কৃষি সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পাবনার বেশ সুনাম রয়েছে। এই জেলাতে ফল, সবজি, ধান, পাট প্রায় সব কিছুর আবাদ বেশ ভালো হয়ে থাকে। বিগত বছরের চাইতে এই বছরে পাটের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। বিগত বছরে বর্ষার পানির কারণে পাট আগাম কাটতে হয়েছে। এই বছরে পানির অভাবে পাট কাটতে কৃষক সময় নিয়েছে অনেক। জেলাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ পাট কাটা হয়েছে। আরও ৫০ শতাংশ পাট কাটার পক্রিয়া চলছে।  

তিনি বলেন, গত মাসে জেলা সমন্বয় মিটিং এ সব উপজেলার দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়র বোর্ড সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খাল-বিলের সংযোগ গেট খুলে দেওয়ার জন্য। ইতোমধ্যে প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টি ও নদ নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নিচু অঞ্চল ও বিলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে তিন প্রজাতির পাট চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হওয়াতে এ বছরে জেলাতে প্রায় ৫৩ হাজার মেট্রিকটন পাট পাওয়ার আশা করছেন কৃষি বিভাগ। বর্তমানে পাটের বাজার ভালো কৃষকদের ক্ষতির মুখে পারতে হবে না বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।