ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

মাদারীপুরে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫০০ হেক্টর আমন ধান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
মাদারীপুরে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫০০ হেক্টর আমন ধান

মাদারীপুর: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুরে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত রোববার (২৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকে দিনগত রাত ১১টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি ক্ষেত। জেলার সদর উপজেলার মস্তফাপুর, ঘটমাঝি,  কেন্দুয়া ইউনিয়ন, ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম, নবগ্রাম ইউনিয়নের আমন ধানসহ জেলার শিবচর, রাজৈর ও কালকিনির বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের ক্ষেত ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে।  

কৃষকরা জানান, কিছু কিছু জমির পাকা আমন ধান ও কিছু জমির কাঁচা ও আধা কাঁচা আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকরা সরকারের কাছে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রণোদনা দাবি করছেন।  

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের খাতিয়াল গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন মল্লিক, রাসেল মল্লিক, ইউনুস মোড়লসহ একাধিক কৃষক জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে খাতিয়াল গ্রামে ক্ষেতের সব আমন ধান তলিয়ে ও হেলে পড়েছে। এছাড়া চার বিঘা জমির একটি টমেটো ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে এক চাষির।

জেলার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের একাধিক কৃষক জানান, টানা বৃষ্টিতে আমনের ক্ষেত এবং সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেতে হাটু পানি জমে আছে।

মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দ্বিগবিজয় হাজরা জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে যে সব কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে জেলার প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। পরে সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কোনো প্রণোদনা পাঠালে আমরা তা তালিকাভূক্ত কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।