ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার যাত্রীর কাছ থেকে সোনাসহ মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে লিখিতভাবে ব্যাখ্যাটি জানান।
ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ১৫ অক্টোবর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (বিজি-৫৮৫) অবতরণ করে। বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহের পর চারজন যাত্রীর মূল্যবান সামগ্রী লাগেজ থেকে খোয়া গেলে তারা অভিযোগ করেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়। সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিওর মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি জানান, মূলত সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক চেকিং কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা তল্লাশিতে এই চার যাত্রী হাতে পাঁচটি লাগেজ বহন করছিলেন। পরে বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তে লাগেজ পাঁচটির সাইজ বড় ও ওভারওয়েট হওয়ায় তা কেবিন লাগেজ থেকে হোল্ড লাগেজে স্থানান্তরের জন্য যাত্রীদের জানানো হয়। এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরে লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া যায় মর্মে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সদস্যরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানান। এ ছাড়া র্যাম্প সিকিউরিটি সদস্যরা বিমান অবতরণের পরে লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান।
তিনি আরও জানান, লাগেজের বিষয়ে যাত্রীরা লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরেও বিষয়টি নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের কাছ থেকেও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গত ১৫ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরে চার যাত্রী তাদের মালামাল ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে কান্নাকাটি করেন। সেই কান্নাকাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে তারা অভিযোগ করেন, বিমানবন্দরের কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ ও মালামাল ছিনতাই করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
এমকে/আরএইচ