আকাশপথে যারা চলাচল করেন তাদের অনেক সময়ই সঙ্গে থাকা হ্যান্ড লাগেজ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়। এই ঝামেলা এড়াতে উড়োজাহাজে ওঠার আগে কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন।
• সাধারণত এয়ারলাইন্সগুলোতে যাত্রীকে সাত কেজির অধিক ওজনের মালামাল সঙ্গে নিয়ে উড়োজাহাজে প্রবেশ করতে দেয় না। অনেক এয়ারলাইন্সের প্রবেশপথে যাত্রীর হ্যান্ড লাগেজ ওজন করার জন্য স্কেল রাখা হয়। তাই চেষ্টা করবেন সাত কেজির মধ্যেই হ্যান্ড লাগেজের ওজন রাখার।
• সাধারণত হ্যান্ড লাগেজ হিসাবে একটির বেশি লাগেজ নিতে দেওয়া হয় না। তবে কোলের শিশুর খাবার-ডায়াপার, অসুস্থ যাত্রীর ওষুধ, নারী যাত্রীদের ব্যবহার্য পার্স ও গরম কাপড় নিতে দিতে পারে।
• হ্যান্ড লাগেজের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার সমষ্টি ৪৫ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না। এয়ারলাইন্সের অভিজ্ঞ কর্মীরা যাত্রীর সঙ্গে থাকা লাগেজ দেখে চোখের আন্দাজেই বুঝে নেন যে সেটার সাইজ অনুমোদিত সীমার চেয়ে বড়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উড়োজাহাজের প্রবেশপথে লাগেজের সাইজ মাপার জন্য স্কেল থাকতে পারে।
• উড়োজাহাজের ভেতরে যাত্রীর লাগেজ রাখার স্থান সীমিত। ওপরে ওভারহেড বিন ছাড়াও যাত্রীর সামনের সিটের নিচে হ্যান্ড লাগেজ রাখা যায়। এর বাইরে কোনো অবস্থাতেই লাগেজ রাখা যাবে না।
• যাত্রীর বহন করে আনা লাগেজ সাইজে বড় হলে অথবা সংখ্যায় একটির বেশি হলে অথবা ওজনে সাত কেজির বেশি হলে এয়ারলাইন্সের কর্মীরা তা বুকিংয়ে দিয়ে দিতে বাধ্য করতে পারেন।
• হ্যান্ড লাগেজ বুকিংয়ে দিতে বলা হলে যাত্রীকে অবশ্যই লাগেজের ভেতরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন/ট্যাব (যার ভেতরে ব্যাটারি আছে) নিজের সঙ্গে নিয়ে নেবেন। কখনও কখনও এয়ারলাইন্স হ্যান্ড লাগেজ বুঝে নিয়ে যে ট্যাগ লাগিয়ে দেয়, সেখানেই এ ধরনের নির্দেশনা থাকে।
• মনে রাখতে হবে যে, উড়োজাহাজে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত সময় খুব কম থাকে। লাগেজ বুকিংয়ে দিতে বললে এয়ারলাইন্সের কর্মীদের সঙ্গে তর্ক করা অথবা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। বরং লাগেজ থেকে দামি জিনিসগুলো নিজের পকেটে নিয়ে লাগেজ দ্রুত বুকিংয়ে দিয়ে দিতে হবে।
• যাত্রীর হ্যান্ড লাগেজ যথাসম্ভব ছোট হওয়া ভালো। লাগেজ হিসাবে একটি ছোট আকারের ব্যাকপ্যাক নিলে তা ওভারহেড বিন অথবা সামনের সিটের নিচে রাখা যাবে। লাগেজের আকার যত বড় হবে, সেটা বুকিংয়ে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা পাওয়ার আশঙ্কা তত বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এমকে/এএটি