নীলফামারী: উত্তরের জেলা নীলফামারীর সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরিচালক (প্রশাসন) মো. জহিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, দেশের আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে সৈয়দপুর সবচেয়ে ব্যস্ত ও লাভজনক। ফলে এর গুরুত্ব অনেক। ভুটান সরকার সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য আমাদের কাছে তাগাদা দিয়ে আসছে। একইভাবে তাগাদা দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালও। ফলে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে অর্থ বরাদ্দ না মেলায় আমরা জমি অধিগ্রহণ করতে পারিনি।
তিনি বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করতে ৯১২ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে নামজারি ও ফিল্ড বুকও তৈরি করেছে নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। মাঝে করোনা অতিমারি ও অর্থ সংকটের কারণে আমাদের কার্যক্রম থেমে ছিল। তবে জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে আমরা চিঠি দেব। আশা করছি, দ্রুতই এ কাজ শুরু করা যাবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরিচালক (প্রশাসন) মো. জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হলে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির ব্যাপারে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, পরিচালক আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বিমানবন্দর উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ৯১২ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক করার কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসআই