ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

উন্মুক্ত বাঘ, বন্দি মানুষ

মোহাম্মদ আল আমীন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪
উন্মুক্ত বাঘ, বন্দি মানুষ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাজীপুর: একটি আধাপাকা রাস্তা, দুই পাশে বন। আর এই বনে উম্মুক্ত রাখা হয়েছে পাঁচটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

বাঘ দেখতে ইচ্ছুক দর্শনার্থীদের শক্ত গ্লাসে আচ্ছাদিত বাস কিংবা জিপে বন্দি করে ঘুরিয়ে আনা হচ্ছে বাঘের সেই বিচরণ ভূমিতে।

সাধারণত পার্কগুলোতে বনের হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে অথবা হিংস্র প্রাণী প্রদর্শন করার জন্য তাদের খাঁচায় বন্দি রাখা হয়। আর মানুষ থাকে উম্মুক্ত। চিরাচরিত এই নিয়মকে বদলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় ৩৬৯০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এই পার্কে রাখা হয়েছে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক থেকে শুরু করে নানা প্রজাতির পশুপাখি।

এখানে দর্শনার্থীদের পশুপাখির কাছে নিয়ে আসার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

বাঘ নয় বরং মানুষই বন্দি এখানে। বাঘের মতোই খাঁচায় বন্দি করে বাঘেরর কাছি নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। আর বাঘ কিংবা সিংহসহ আরও কয়েকটি হিংস্র প্রাণী উম্মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।

প্রধান ফটক পার হয়ে কিছুদূর এগুলেই আরেকটি ফটক। ফটক পেরুলেই বনের মাঝ দিয়ে সরু আধাপাকা রাস্তা, আর রাস্তার ওপরেই শুয়ে আছে একদল সিংহ।

এভাবে একটু পরপর বিশাল এলাকাজুড়ে নানা প্রজাতির প্রাণী।

বন্দি থেকে বাঘ-সিংহ- হরিণাকুণ্ডসহ আরও কয়েকটি প্রাণী দেখতে সময় পাওয়া যায় পনের থেকে বিশ মিনিট। ভাড়া গুনতে হয় মাত্র পঞ্চাশ টাকা।

প্রধান ফটক থেকে একটু সামনে গিয়ে ডানে তাকালেই চোখে পড়বে দেশি বিদেশি হাজার রকমের পাখি। এর পাশেই মেরিন অ্যাকুরিয়াম। আর এগুলোতে প্রবেশের জন্য দিতে হয় দশ টাকা করে।

তার একটু সামনেই পানির বিশাল ফোয়ারা। ফোয়ারাটির চার পাশেই বিভিন্ন প্রাণীর মোড়াল সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

এর পরই সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে অংশটা রয়েছে সেটা হচ্ছে সাফারি কিংডম। সাফারি কিংডমে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অজগর সাপ, বিভিন্ন বয়সের ও ধরনের ময়ূর, উট পাখি, শকুন, কুমির, প্রজাপতি, বানর, পেঁচাসহ বেশ কয়েক প্রজাতির পশুপাখি।

ছাড়াও এই পার্কে রয়েছে কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও বাংলোসহ অন্যান্য সুবিধা।

তবে সমস্যার কথা হলো সময়ের সেরা এই বিনোদন কেন্দ্রে প্রবেশের প্রধান দু’টি রাস্তা এতোটাই সরু আর খারাপ যে, দু’টি গাড়ি ওভারটেক করতে গেলেই দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যায়।

মাত্র আট ফুট চওড়া এই রাস্তায় মাঝে মাঝে দর্শনার্থীদের জ্যামে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিশেষ করে ছুটির দিনে দুভোগের সীমা থাকে না দ‍ূর দূরান্ত থেকে আসা বিনোদন পিয়াসীদের।


বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।