ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট আর কতদূর!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৪
সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট আর কতদূর!

সিলেট: দুই সপ্তাহ আগে লন্ডন গেছেন সিলেটের সেলিম চৌধুরী। কিন্তু সিলেট থেকে বিমানে চাপলেও ঢাকায় তাকে হোটেলে নিয়ে রাখা হয়েছে একদিনের বেশি।

আরেকজন রামিল মাসুদ। উচ্চ শিক্ষার্থে সিলেট থেকে যাত্রা শুরু করলেও তাকে ঢাকায় নিয়ে একদিন হোটেলে রাখা হয়।

প্রতিদিন সিলেট থেকে এভাবে যাত্রাপথে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যুক্তরাজ্যে গমণেচ্ছুরা। সবচেয়ে বেশি প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলের যাত্রীদের এ সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বিমান কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ যাত্রীদের।
 
সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি লন্ডনে ফ্লাইট চালু ধীর্ঘ দিনের সিলেটবাসীর। প্রবাসীদের এই দাবি নিয়ে বার বার সরকার ও বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে ট্রাভেল এজেন্ট প্রতিষ্ঠানদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ।

তারা বলছেন, বিমান কর্তৃপক্ষের অবিচার ও বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে সিলেটের প্রবাসী যাত্রীরা ঢাকা হয়ে লন্ডন যাবার পথে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সংস্থাটি বলছে, বিমানের সিলেট-লন্ডন কোনো ফ্লাইট রাখা হয়নি এমনকি ঢাকা-লন্ডন সিট খালি থাকলেও সিলেট-ঢাকা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের কারণে যাত্রীরা যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন না। এতে প্রবাসীদের চাকুরি হারানো ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

সিলেট অঞ্চলের যাত্রী নিয়েই বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন বিমানের অবহেলার শিকার সিলেটবাসী। অথচ এখনও বিমানের ৮০ ভাগ যাত্রী সিলেট অঞ্চলের- একথা বললেন আটাব সিলেট অঞ্চলের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক বেলাল।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হলেও তা শুধুই নামেই। বছর দেড়েক আগে একটি ফ্লাইট সিলেট থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও সেটি এখন বন্ধ। আর এয়ারক্রাফট না থাকার অজুহাতে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে হজ্ব মৌসুমে সিলেট-ঢাকা অভ্যন্তরীন ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমানের অভ্যন্তরীন ফ্লাইট আর চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী যাওয়া আসা করলেও কেন বিমানের সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইট দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে বিমান কর্মকর্তা এমডি শাহনেওয়াজ মজুমদার জানান, বর্তমানে সিলেট থেকে কেবল ট্রানজিট ফ্লাইট অপারেট হচ্ছে। তিনি জানান, এ এয়ারপোর্টে বর্তমানে লন্ডন, জেদ্দা ও দুবাই থেকে ট্রানজিট ফ্লাইট আসছে।

তিনি জানান, রিফুয়েলিং স্টেশন চালু হলে  সিলেট থেকে ডাব্লিউ প্যাটার্ন (সরাসরি) ফ্লাইট চালু হতে পারে।

এ ব্যাপারে রি-ফুয়েলিং স্টেশন স্থাপনের প্রকল্প পরিচালক আমিনুল হক বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৭৫ ভাগ  কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মে মাসেই রিফুয়েলিং স্টেশনের সব কাজ তারা সম্পন্ন করবেন বলে আশাবাদী।

তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতিগুলোর মধ্যে সাউথআফ্রিকা থেকে ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড  ফায়ার ফায়াটিং-এর যন্ত্রগুলো ঢাকায় বিমানবন্দরে এসে গেছে। এগুলো নিয়ে আসা হলেই স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ  ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।