ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বসে আছে, নভোএয়ার দুষছে সিভিল এভিয়েশনকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৬
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বসে আছে, নভোএয়ার দুষছে সিভিল এভিয়েশনকে

ঢাকা: রোড শোতে ব্যাপক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে উড়াল শুরুর আওয়াজ দিলেও নির্ধারিত সময়ের তিন সপ্তাহ পরও ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট চালু করতে পারেনি নভোএয়ার। বেসরকারি এই এয়ারলাইনসটির পক্ষ থেকে বার বার অল্প সময়ের মধ্যেই ওই রুটে ফ্লাইট চালুর কথা বলা হলেও কার্যত তা হচ্ছে না।



ওড়ার আগেই বন্ধ ঘোষণা করা ফ্লাইট ঠিক কবে নাগাদ চালু হতে পারে তা বলতে পারছেন না প্রতিষ্ঠানটির কেউই। তবে সাড়ম্বরে ওড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর এভাবে বসে যাওয়ার জন্য সৈয়দপুর এয়ারপোর্টকেই দুষছে কোম্পানিটি।

এ প্রসঙ্গে নভোএয়ারের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার এএফএম মাহফুজুল আলম টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, রানওয়েতে নানা সমস্যা আছে। আমাদের এয়ারক্র্যাফটগুলো উন্নত। সাধারণ মানের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে নামতে পারছে না। এয়ারক্র্যাফট পরিবর্তন করে শিগগিরই ফ্লাইট চালু করা হবে।

এয়ারক্র্যাফটের যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বেমালুম অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের কোনো ঝামেলা নেই। কমার্শিয়াল কারণে ফ্লাইট বন্ধ আছে।

নভোএয়ারের এই কর্মকর্তা ঘোষিত ফ্লাইট চালু করতে না পারার ব্যাপারে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপালেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

সাড়ম্বরে ঘোড়ার গাড়ি হাঁকিয়ে আর ঢাক-ঢোল বাজিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুরে রোড শো করে নভোএয়ার।   এএফএম মাহফুজুল আলমের নেতৃত্বে সৈয়দপুর বিমানবন্দর শাখার ম্যানেজার শাহিন আহমেদ, রাজশাহীর ইনচার্জ সৌমেন চৌধুরী ও সৈয়দপুরের সব এজেন্সি প্রতিনিধিরা অংশ নেন রোড শোতে।

‘একটা কিনলে একটা ফ্রি’ স্লোগানে লোভ দেখিয়ে টিকিটও বিক্রি শুরু করে নভোএয়ার। প্রতিটি ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম রাখা হয় ৩২০০ টাকা। এভাবে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে তারা মোটা টাকা তুলে নেয়। বিদ্যমান বাজার হয়ে ওঠে অস্থির। সুস্থ বাণিজ্যিক পরিবেশে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা।

কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি উড়ালের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বসে যায় নভোএয়ারের এয়ারক্র্যাফট। ফলে তারা অন্য এয়ারলাইনসের টিকিট কিনে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠাতে বাধ্য হয়।

উড়াল শুরু না করতে পারার জন্য প্রথমে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বললেও এখন সেখান থেকে সরে এসে এয়ারপোর্টের দোষ দিচ্ছে তারা।

ওই রুটে এখন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিদিন একাধিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে স্মরণ করিয়ে দিলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে বলা হচ্ছে, ইউএসবাংলা আর বিমানের এয়ারক্র্যাফট ততো উন্নত নয়। সৈয়দপুরে ফ্লাইট পরিচালনায় তাই তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু নভোএয়ারের এয়ারক্র্যাফটগুলো উন্নত। সৈয়দপুর এয়াপোর্টের জন্য অন্য এয়ারক্র্যাফট আনা হচ্ছে।

নভোএয়ারের এমন বক্তব্যকে বাণিজ্যিক চালবাজি বলেই মনে করা হচ্ছে। বিমান বাহিনীর অবসর প্র্রাপ্ত কযেকজন কর্মকর্তা এই এয়ারলাইন্স পরিচালনায় জড়িত থাকায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)সহ বিভিন্ন সংস্থাকে প্রভাবিত করে নিজেদের পছন্দমতো বিভিন্ন বিষয় অনুমোদন করিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ আছে নভোএয়ারের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।